পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসন এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বদান্যতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। তখন থেকেই পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শুরু করেছে।

তিনি বলেন, পাহাড়িদের সম্প্রীতির বন্ধনে সবাই মিলে পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সুষম বণ্টন নিশ্চিত করব।

শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরে মারমা উন্নয়ন সংসদ সদর শাখা প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এ সময় আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালে পার্বত্য অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যেসব কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে, তা দ্রুত সমাপ্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আগে আরো সরকার এলো-গেল, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ তো করেইনি বরং পাহাড়ি জনমনে আতঙ্ক ও অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা চালিয়েছিল তারা। বিএনপি-জামায়াত পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ করার কোনো উদ্যোগই নেয়নি, বরং তা দীর্ঘ সময় জিইয়ে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলেই পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বহুলাংশে বন্ধ করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মনে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে স্রোতধারা বহমান রয়েছে, তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী ও মাউস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ম্র্যাগ্য চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধনে নিবেদিত শিক্ষক মিসেস মল্লিকা ত্রিপুরা, মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাঁশরী মারমাসহ তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী ও সাংবাদিক চিংমেপ্রু। মারমা উন্নয়ন সংসদের পক্ষ থেকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

পিডিএস/মীর