মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

শালিখায় কমেছে খেজুর গাছ, চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না রস-গুড়

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

মাগুরার শালিখায় খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না রস ও গুড়। এ কারণে কমেছে গাছির সংখ্যাও। জানা যায়, শালিখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে খেজুর গাছ। গ্রামীণ সড়কে এখন আর আগের মতো খেজুর গাছের সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে না।

জানা যায়, পৌষ থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত রস সংগ্রহের মৌসুম। এই তিন মাসে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা বিক্রি করতে নিরলস সময় পার করেন গাছিরা। সাথে রস দিয়ে তৈরি গুড়-পাটালি বিক্রির ধুম চলে সমানে। রসের মৌসুমে গাছিরা পঞ্চাশ থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল হয়।

কয়েক বছর আগেও হেমন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে গাছ কাটার হিড়িক পড়ত শালিখা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।

বেশ চড়া দামে ইটভাটার মালিকদের কাছে খেজুর গাছ বিক্রি করা, নতুন করে খেজুর গাছ রোপণ না করা এবং গ্রামীণ সড়কের সংস্কার কাজের কারণেও অনেক স্থানে খেজুর গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।


শালিখায় এখন ২৬ হাজার খেজুর গাছ আছে গাছের সঙ্গে কমেছে পেশাদার গাছির সংখ্যাও


শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের সিংহেস্বরপাড়ার আব্দুল কুদ্দস বলেন, ৩০ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটতেছি, আগে এক সময় তিন থেকে চারশ গাছ কাটতাম কিন্তু এখন গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৫০ থেকে ৬০টি গাছ কাটা হয়। এক হাড়ি রস বিক্রি করি ৩০০ টাকা এবং এক কেজি পাটালি ও ঝোলগুড় বিক্রি করি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।

স্বপন, শামসুল, সাধনসহ কয়েকজন গুড় ও পাটালি বিক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, খেজুরের রস পর্যাপ্ত না থাকায় এখন অধিকাংশ জায়গায় চিনি মিশ্রিত গুড়-পাটালি বিক্রি করা হয়।

শ্রী ইন্দ্রনীল অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান সংগঠক মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, বৃক্ষরোপণে খেজুর গাছ অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, শালিখায় ২৬ হাজার খেজুর গাছ আছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তাই এই গাছের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে সবাইকে খেজুর গাছ বেশি বেশি রোপণ করা প্রয়োজন।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মাগুরা,শালিখা,খেজুর গাছ,রস,গুড়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close