গোলাম রসুল, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামে ময়লার স্তূপ 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বালুজুড়ি গাঙ্গের পূর্ব-উত্তর অংশে ফেলা হয় ময়লা-ছবি : গোলাম রসুল

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম পৌর অংশে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। এ ভাগাড়ের দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। যানবাহনে চলাচলে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। ওই সড়কের আশপাশের নাটাপাড়া, বীরচন্দ্রনগর, বালুজুড়ি নোয়াপাড়া ও রামচন্দ্রপুরসহ গ্রামগুলোর লোকজনের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, রাস্তায় চলাচলের সময় দুর্গন্ধে তাদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়।

সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভা। প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ড্রাম ট্রাকে করে নিয়ে আসা ময়লা-আবর্জনা রাখা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বালুজুড়ি গাঙ্গের পূর্ব-উত্তর অংশে। যার ফলে ময়লা থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যা মহাসড়কের উভয় পাশের গ্রামগুলোতে বসবাসরত মানুষের কাছে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যদিন এখানে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা। যে দুর্গন্ধ ছড়ায় তাতে আশপাশ এলাকার শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। দুর্গন্ধের কারণে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকালে গাড়ির ভেতরে অনেক যাত্রীই বমি করে ফেলেন।

এখানে ফেলা ময়লার মাঝে পচাবাসি খাবার নিয়ে শিয়াল-কুকুরের টানাটানি লক্ষ করার মতো। গরু ব্যবসায়ীরা গরু ট্রাকে করে আনার সময় কোনোটি মরে গেলে সেই মরা গরু এখানেই ফেলা হয়। এজন্য সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় পথচারীরা নাকে-মুখে রুমাল বা কাপড় চেপে চলতে বাধ্য হচ্ছেন।

সুমাইয়া আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, এই সড়ক দিয়ে চলতে আর ইচ্ছা করে না। ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করার মতো নয়। প্রায়ই বমি হয়। মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশা যাত্রী বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ থেকে এত বাজে গন্ধ নাকে আসে, তাতে টেকা বড় দায়। কী আর করব। আমাদের কথা কেউ শুনবে না।’

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মিরু বলেন, ‘আমি মেয়র হওয়ার পর থেকে ময়লা রাখার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দুবার চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয় এখনো চিঠির উত্তর দেয়নি। আশা করি, ময়লা রাখার বিষয়ে শিগগিরই একটি চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। তখন আমরা এ ময়লা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাব। মানুষের কষ্ট লাঘবে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা সবার জন্য থাকবে।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে রাখা ময়লা দ্রুত অপসারণের জন্য বলা হয়েছে। এগুলো পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close