কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া

  ২১ জুন, ২০১৯

রোহিঙ্গাদের দখলে স্থানীয়দের ব্যবসা

উখিয়ায় অনেক ব্যবসা বাণিজ্য এখন রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়ার ২০টি ক্যাম্পে আশ্রয়ের পাশাপাশি, তরি-তরকারি থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যসহ ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করায় স্থানীয়দের মাথায় হাত। স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ-পাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও রোহিঙ্গাদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গারা বেপরোয়া ব্যবসা-বাণিজ্য করে গেলেও দেখার বা বলার কেউ নেই।

সরেজমিন কুতুপালং ১নং ও ২নং ক্যাম্প বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কুতুপালং বাজারের কাঁচা তরি-তরকারির দোকানের মালিক অধিকাংশই রোহিঙ্গা। তারও অদূরে লম্বাশিয়া এলাকায় সহশ্রাধিক দোকান রয়েছে। এসব দোকানের ৯৯% রোহিঙ্গা নাগরিক। ১ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় লোকজনের দোকান-পাট থাকলেও রোহিঙ্গাদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে বেচাকেনা না হওয়ায় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

স্থানীয় লম্বাশিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জানালেন, রোহিঙ্গা আসার পর পর তিনি একটি চায়ের দোকান দিয়েছিলেন। কিছুদিন চলতে না চলতে তার পাশে কয়েকটি দোকান গড়ে তুলে রোহিঙ্গারা। এরপর থেকে বেচাকেনা কমে যায়। এমনকি এক পর্যায়ে দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি।

একইভাবে তরি-তরকারি ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম বলেন, লম্বাশিয়ায় প্রথমে রোহিঙ্গা আসার পর তার একটি মাত্র তরি-তরকারির দোকান ছিল। দৈনিক ১০হাজার টাকার উপরে কাঁচা মালামাল বিক্রি হত। রোহিঙ্গারা এখন কয়েক‘শ দোকান গড়ে তুলেছে। যার কারণে হাজারের অধিক বেচাকেনা হয় না। এই ধরণের অভিযোগ অধিকাংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীর।

সুত্র মতে, আশির দশকের পর থেকে একের পর এক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে উখিয়ার স্থানীয় লোকেরা নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এমনকি বাপ-দাদার দিনের দখলীয় জায়গা-জমি, বসতভিঠা ছেড়ে দিয়ে পথে বসতে হয়েছে অনেককে। এরপরও সরকারের মানবিক মনোভাবের কারণে স্থানীয় লোকজন মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের প্রতি সহনশীল আচরণ করে আসছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা কথায় কথায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে দ্বিধা করছে না।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় যে সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর ভূমিকা রাখবে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রোহিঙ্গা,দখল,স্থানীয়,ব্যবসা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close