নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ মার্চ, ২০১৮

রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আগামী এপ্রিলে মধ্যে নিউইয়র্কের আদালতে রিজার্ভ চুরির মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলাটি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ফৌজদারি এই মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম ইউনুসুর রহমান, সিআইডির প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুরি যাওয়া রিজার্র্ভের অর্থ ফেরত আনতে মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী এপ্রিলেই অর্থ উদ্ধারে মামলা করতে চাই। নিউইয়র্কের আদালতে এই মামলা করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় রিপোর্ট সিআইডিকে তাড়াতাড়ি দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলা করার জন্য কোনো ল’ ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে আমেরিকার একটি ফার্মকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আর এই মামলায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে আমরা পার্টি করতে চায়। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক পার্টি হতে রাজি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজি হয়নি। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যোগাযোগ করছেন। সেখানে বাঙালি আইনজীবীরাও রয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের মধ্যে নিউইয়র্কে রিজার্ভ চুরির মামলা করা হয়ত সম্ভব হবে না। কারণ মামলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন হয়নি। বিশেষ করে, সিআইডি যে তদন্ত করছে সে তদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। মামলায় এই প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে। এদিকে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মামলা করার সুযোগ রয়েছে। তবে তার আগেই মামলা করা হবে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনো ফেরত আসেনি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আর এই ডলার উদ্ধারের জন্যই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist