মৃধা আলাউদ্দিন
চারপাশে জোছনার আলো
পথে-প্রান্তরে, বাড়ির বারান্দায়, রাত্রিরে রেস্তোরাঁয় বারুদের গন্ধ
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ভোরের পাখি
রক্তে ভিজে গ্যাছে আমার ভাইবোন, বাবার বুকÑ
মাঠ-ঘাট, নীল দিগন্ত
রৌদ্দুরে
চারপাশে পড়ে আছে আমাদের থোকা থোকা সুখ...
এই বাংলায়, আমাদের জনপদ-জনান্তিকে
রাস্তায় না খাওয়া বিষণœ মানুষের ভিড়;
অন্তর গহিন থেকে ভেসে গেছে ভিসুুবিয়াসের বিষবৃক্ষÑ
দা-াখা-াÑ পতিপুত্রহীন নারীর দহনজ্বালা...
লাশের পাড়ায়, অশরীরী নীল নগ্ন-অন্ধকার রাতÑ কোথাও রোদ নেই
কুয়াশার চাদর, সবুজ জমিনের বুকে লেপ্টে আছে তাজা রক্ত;
জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে গ্যাছে শ্রাবণ নদী।
আমরাও ধরে রেখেছি শাড়ির আঁচল অথবা জামার পকেটে
যতনে রেখেছি ডিনামাইট, টাঙ্ক-ট্রিগারÑ বারুদের গন্ধ...
২.
প্রজাপতির রঙিন ডানায়, উচ্ছ্বাস ভরা বিকেলে, বিজয়ের এই শুভক্ষণে
সাগর-নদী, নীল ঢেউয়েÑ ভোরের মিনার থেকে ভেসে আসে আজান।
দিনের শেষে ঝলমলে আলোয় কোথাও কোনো রুগ্ণ নারী নেই
চারদিকে স্বাধীনতার স্বপ্নীলÑ আহ্লাদী ছোঁয়া
লাল-শাদা, সবুজ জলের নূপুর...
৩.
দাবানলে পুড়ে যাওয়া সবুজ দেশ
ঘাসের চাদর, আয়না অথবা জোছনা বিলানো চাঁদে
আমাদের সারা দেশে লেপ্টে আছে স্বাধীনতা।
আজ বড় বেশি দারুণ লাগছে লাল-সবুজের পতাকা
পুকুর পাড়েÑ বেলতলায় শুধু জোছনা, সূর্য ও স্বাধীনতা।
ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে লাল-নীল, রঙিন প্রজাপতিÑ
৪.
আমার চারপাশে বিনম্র শ্রদ্ধার আলোÑ অভিবাদন
নতুন, নবান্ন ফসলের মাঠ। চিকচিক করছে চপলা চড়–ইভাতি...
নেই, বাতাসে ভেসে গেছে বারুদের দাগÑ বিষাক্ত পাথর, পাগল পঙ্গপাল।
আটষট্টি হাজার গ্রামে কোনো রক্তের গান বা গল্প নেই
শুধু স্বপ্নের সোনালি ধান-রৌদ্দুর
পাটখেতে নেচে যাওয়া বাউল বাতাস আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে।
আমার হাড্ডি-মাংস, অস্থিমজ্জায়Ñ পেনড্রাইভ
মেগাবাইটÑ চারপাশে ছিটকে পড়ছে জোছনার আলো।
"