প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
কুষ্টিয়ায় দুই ভাই গুলিবিদ্ধ
সংঘর্ষ : ফরিদপুরে ১২ জন আহত
কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে কুপিয়ে ও দুই ভাইকে গুলি করে প্রতিপক্ষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুষ্টিয়া : কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে গতকাল সকাল সোয়া ৬টার দিকে প্রতিপক্ষেও ছররা গুলিতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা ওই এলাকার মৃত কেঁদো শেখের ছেলে মো. জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা দুজনই পেশায় জেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার। তিনি জানান, ছড়রা গুলিতে আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।
গোলাগুলির ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে একটি হত্যার রেশ না কাটতেই নিহতের পক্ষের ৩ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দুদলের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ হয়। নিহতের পক্ষের মারাত্মক আহত কাওছার মিয়া, জাকারিয়া, অহিদকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট খারদিয়া গ্রামের কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ বছর ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাওসার মিয়াকে হত্যা মামলার আসামি পক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এর জের ধরে দুদলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১২ জন আহত হয়।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ জানান, এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
"