কৃষিতে ‘সাব-সিজনাল টু সিজনাল’ আবহাওয়ার স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থার যাত্রা শুরু
ফসল উৎপাদনে আবহাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, যেখানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কৃষককে যেমন উৎপাদনঝুঁকি নিতে হয়, তেমনি আবহাওয়ার আগাম সঠিক তথ্য না থাকায় কৃষি উপকরণসমূহের অপচয়সহ সামগ্রিক উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এজন্য কৃষকের কাছে আবহাওয়ার আগাম তথ্য থাকাটা জরুরি। এ সংকট মোকাবিলায় ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্যপদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’ এবং ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে’র সহযোগিতায় কৃষিতে ‘সাব-সিজনাল টু সিজনাল’ আবহাওয়ার স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে কৃষকরা পরবর্তী ৪ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাবে, যা তাদের সেই আবহাওয়া অনুযায়ী ফসল নির্বাচন থেকে শুরু করে উৎপাদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বিজয় সরণিতে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে ‘সাব-সিজনাল টু সিজনাল’ স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থার সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা এই স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে কৃষির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করেন। তারা বলেন, বর্তমানে কৃষকরা সাধারণত দৈনিক থেকে সর্বোচ্চ ৫ দিন পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়ে থাকে। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের আগাম তথ্য দিয়ে তারা ফসল উৎপাদন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে এবং প্রয়োগে পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ‘সাব- সিজনাল টু সিজনাল’ স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। এর আগে গবেষক দল ডিএই এবং বিএমডির কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থার ওপর সপ্তাহব্যাপী প্রযুক্তিগত এবং প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, এই নতুন স্বয়ংক্রিয় পূর্বাভাস ব্যবস্থাটি একটি অত্যাধুনিক ব্যবস্থা যা আবহাওয়ার ধরন সম্পর্কে সঠিক এবং সময়োপযোগী তথ্য প্রদানের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্সের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"