সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার দুয়ার হিসেবে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে আবির্ভূত হচ্ছে। মেক্সিকো সফররত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী গুয়াতেমালার প্রাকৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মারিও রবের্তো মালদনাদো সমায়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সিটির লস পিনস-এ ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স, মন্ডিয়াকাল্ট-২০২২-এ অংশগ্রহণরত গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টার এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ হয়। প্রতিমন্ত্রী কুশলবিনিময়ের পর গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টারকে দেশটির স্বাধীনতার ২০১তম বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। খবর বাসসের।

দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে বহুগুণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা এবং টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্লাস্টিক শিল্পের সুখ্যাতি রয়েছে। আইসিটি শিল্পও ক্রমবর্ধমান। গুয়াতেমালা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলাচ উৎপাদক, যা বাংলাদেশি রন্ধনশালায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দেশটি চকলেট বারেরও উদ্ভাবক।’

গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টার এ ব্যাপার একমত পোষণ করেন। তিনি সাংস্কৃতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগকেও কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ সময় গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাৎকালে মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাস মেক্সিকোর কাউন্সেলর শাহনাজ আক্তার রানু ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

"