নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

২০১৯ সালেও নির্যাতিত হন সাংবাদিক মুজাক্কির

২০১৯ সালেও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মুজাক্কিরকে নির্যাতনের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি বর্তমানে সংবাদকর্মী ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

ওই ভিডিও চিত্রে কোম্পানীগঞ্জের মাদক মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত কথিত সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেল বসুরহাট বাজারের একটি দোকানে আটকে রেখে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে মারধর করেন। এ সময় মুজাক্কিরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে হাসান ইমাম রাসেল। এসবের চিত্র রেকর্ড করা ওই ভিডিওতে রয়েছে। একসময় নির্যাতনের শিকার হয়ে মুজাক্কিরকে ওই স্থান থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়। মুজাক্কিরকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত করে এ নির্যাতন করা হয় বলে আওয়ামী লীগের সমর্থক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন। অপরদিকে মুজাক্কির হত্যাকা-ের পর মিজানুর রহমান বাদলও তাকে তার কর্মী বলে দাবি করে আসছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, মুজাক্কিরকে নির্যাতনের ভিডিওটি এরই মধ্যে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভিডিওটি দেখছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা কাদের এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ সাত থেকে আটজন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মুজাক্কির অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close