কুমিল্লা প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কুমিল্লায় স্টিল মিলে বিস্ফোরণে শ্রমিকের মৃত্যু

কুমিল্লার ময়নামতিতে সাকুরা স্টিল মিলে বিস্ফোরণে এক শ্রমিক মারা গেছেন। গতকাল সোমবার সকালে জাপান-বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তার নাম মনোয়ার হোসেন ওরফে কালু। এ সময় আরো চারজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনার পর আহতদের গোপনে চিকিৎসাসহ সমঝোতা করে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দায়িত্বশীল স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মিলটিতে কর্মরত শ্রমিকরা বুট, পোশাক বা হেলমেট ছাড়াই কাজ করেন। জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শরীফপুর এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সাকুরা স্টিল মিলটির অবস্থান। ২০০৫ সালে জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে এটি স্থাপন করা হয়। গতকাল সকাল আনুমানিক পৌনে ৬টায় চালু অবস্থায় মিলটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিকট আওয়াজে আশপাশের লোকজন ঘুম থেকে জেগে উঠে বিস্ফোরণস্থল স্টিলমিলের দিকে ছুটে যায়। বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন কালু মনোয়ারসহ চার থেকে পাঁচ শ্রমিক। মিলের কর্তব্যরত শ্রমিকরা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কালু মারা যান।

মিলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, দুর্ঘটনার পর মালিক পক্ষের লোকজন আহতদের চিকিৎসাসহ ঢাকায় কর্মরত নিহতের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কুমিল্লা নিয়ে আসে। পরে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে পরিবারের লোকজনসহ গাড়ি করে নিহতের লাশ লালমনিরহাট গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে কোনো সুরতহাল বা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়াই লাশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। তবে বিস্ফোরণের বিষয়টি অস্বীকার করে সাকুরা স্টিলমিলের ম্যানেজার কাজী শামিম জানান, কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথার এক পর্যায়ে কালুকে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান।

পরে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের এনে লাশ গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কোন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল জানতে চাইলে উত্তর দেননি তিনি। এদিকে বিকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করলে সেখানে কোনো বিস্ফোরণে দ্বগ্ধ রোগী ভর্তি হয়নি বলে জানানো হয়। এরপর বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ি থেকে এসআই খায়ের প্রথমে ও পরে এসআই শাহিন কাদির দুর্ঘটনাস্থলে যান।

বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে সেখানে পুলিশ পাঠাই।

কুমিল্লা পরিবেশ অধিদফতের উপপরিচালক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খবর নিচ্ছি। কারখানার মালিক পক্ষের বিষয়টি আমাকে জানানো দরকার ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close