নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ এপ্রিল, ২০১৯

দুদক চেয়ারম্যান বললেন

মামলার তদন্ত বিশ্বমানের হলে সাজা শতভাগ হতো

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাজার হার বেড়ে প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে। তবে তদন্তের মান যদি বিশ্বমানের হতো তাহলে হয়তো সাজার হার শতভাগে উন্নীত হতো। এমনটাই মনে করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, কমিশন নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির পরামর্শক জনাথন রোজ, ডেভিড টিম্বারম্যান ও সুশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা রুমানা আমিন অর্চি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দুদকের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর তাদের আলোচনাকালে দুদক চেয়ারম্যান এসব মন্তব্য করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জটিল। দেশের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনীতিবিদ, আমলা, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী, এনজিও, ব্যবসায়ীসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। দুদকের নিজস্ব সক্ষমতা ও ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই বর্তমান কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তির ভূমিকাকে গৌন করে পদ্ধতিগত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরো বলেন, দুদক প্রতিষ্ঠার আগেও দুর্নীতি দমনে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। তারপরও কেন কমিশন করা হলো? মূলত দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে উন্নত কর্মকৌশল প্রয়োগ করে সমন্বিত এবং পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা, সমাজের সর্বস্তরে প্রবাহমান একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবিরোধী সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসার সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, বর্তমান কমিশন সবচেয়ে বড় সংস্কার করেছে অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গ্রেডিং সিস্টেম প্রবর্তন করে। এখন কমিশনের যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ধারিত নম্বরের কম পেলে অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করতে পারবেন না। একইভাবে সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট, গোয়েন্দা ইউনিট, সশস্ত্র ইউনিট, হাজতখানা ইত্যাদি সৃষ্টি করে কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কমিশনের তদন্তের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close