রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ আরো সহজতর করতে এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে সমীক্ষা যাচাই করেছে। প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনায় বিষয়টি উঠে আসে।

ঢাকা শহরকে বাইপাসের মাধ্যমে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমানোর জন্য ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ হবে। অতিদ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া আগামী বছর অর্থাৎ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প দৃশ্যমান হবে বলে কমিটিকে অবহিত করেছে মন্ত্রণালয়। এ কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরের কাজ অনেকাংশই কমে যাবে বলে জানানো হয়।

অন্যদিকে, সড়ক বিভাগের আওতায় বিভিন্ন কোয়ার্টারে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠকে জানানো হয় মিরপুর সড়ক গবেষণাগারে ৬টি আবাসিক ভবনের ৪৬টি ফ্ল্যাটে বেশকিছু বহিরাগত রয়েছে। একইভাবে ওখানকার ১০২টি টিনশেড স্থাপনায়ও বহিরাগতরা থাকছেন। তাছাড়া ঢাকা সড়ক বিভাগের আওতায় ৬টি ভবনের ৫৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর্বারি কালচারের আওতায় ৪৬টি টিনশেডে বহিরাগত রয়েছেন সব মিলিয়ে তিন শতাধিক। তাদের অনেকে আবার সাবলেটের মাধ্যমে বসবাস করছেন।

এসব টিনশেড বা সাবলেট বাসার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের প্রস্তাব করা হয়। এ জন্য সড়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটির মাধ্যমে বহিরাগতদের উচ্ছেদসহ যাবতীয় বিল আদায়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটি সদস্য নাজমুল হক প্রধান জানান, ঢাকার সঙ্গে সড়ক নেটওয়ার্ক সহজতর করতে ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্টের কাজ দ্রুত শুরুর জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি। মালয়েশিয়া সরকারের অনুমতি পেলে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রমেশ চন্দ্র সেন, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হক প্রধান, মনিরুল ইসলাম, লুৎফুন নেছা এবং নাজিম উদ্দিন আহমেদ অংশ নেন।

এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিসি ও বিআরটিএ চেয়ারম্যান, সড়ক ও জনপথের অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

"