আদালত প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮

ডাকসু নিয়ে রুলের শুনানি শেষ, রায় আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জারি করা রুল সম্পর্কে আজ বুধবার রায় দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন। দুই যুগ ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসনকে বাধ্য করতে ২০১২ সালে এই রিট আবেদনটি করেছিলেন ২৫ শিক্ষার্থী। তখন আদালত একটি রুল দিয়েছিলেন; ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের কাছে এই জবাব চাওয়া হয়েছিল সে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার আদালত আদেশের দিন ঠিক করেছেন বলে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে প্রথমে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিসের কোনো জবাব না দেওয়ায় ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। তখন প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরবর্তী তিন মাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে; তাতে ছাত্রদল থেকে আমানউল্লাহ আমান ভিপি এবং খায়রুল কবির খোকন জিএস নির্বাচিত হয়েছিলন।

ছাত্র সংগঠনগুলো থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে এলেও তারপর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কেন্দ্র সিনেটে ছাত্রদের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। এদিকে একই বিষয়ে আরেকটি রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ মার্চ রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং গত ২৬ বছরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

এ রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস মোশতাক হোসেন ও বর্তমান শিক্ষার্থী জাফরুল হাসান নাদিম।

এই রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চেই বুধবার এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist