চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় মা-ছেলের কারাভোগ
মোবাইল ফোনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দীপের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছিল ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে মাকে সঙ্গে নিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রাণ কৃষ্ণ দাস। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি। ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে তারা। তারপর ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে।
প্রাণ কৃষ্ণ দাসের মা কাজলী দাস বলেন, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দালাল চক্রের মাধামে যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মা-ছেলে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের কাছে আটক হয়। এরপর সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। ভারতের দক্ষিন-চব্বিশ পরগনা জেলার ফুলতলি থানার মথুরানগর কলোনি লস্করপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবী।
প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, বিনা পাসপোর্টে দালালদের মাধ্যমে কেউ যেন আমাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ না করে। আমরা যে ভুল করেছি। যার জন্য প্রায় ৫ মাস জীবন থেকে ঝরে গেল। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল চার মাস ২১ দিন। কারাভোগ শেষে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয় মা ছেলেকে।
"