ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ২২ মার্চ, ২০২৪

মশায় অতিষ্ঠ বাসিন্দারা নেই কার্যকরী পদক্ষেপ

ঘোড়াঘাটে অভিযোগ : অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কারকাজ না হওয়ায় চলছে নাগরিক ভোগান্তি * মশকনিধনে আজও নির্দেশনা পাননি বলে জানান এক ইউপি চেয়ারম্যান

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা ও পৌরবাসী। মশারি, কয়েল আর স্প্রেতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। রাত-দিন মশার উপদ্রব চলছে সমান তালে। মশকনিধনে গত চার থেকে পাঁচ বছরে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পৌরবাসীর।

সরেজমিন ঘোড়াঘাট উপজেলা ও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪ থেকে ৫ বছরে মশকনিধনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন কিংবা স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বর্তমানে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাসিন্দাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে প্রাণীগুলো, যাদের মুখফুটে বলার শক্তি নেই। গোয়াল ঘর, হাঁস-মুরগির ঘরগুলোয় সারারাতই শুনতে পাওয়া যায় তাদের নড়াচড়ার শব্দ। মশার উৎপাতে তাদের নিদ্রাবিহীন রাত কাটছে দিনের পর দিন। মশা তো সবিস্তারে ধ্বংস করা যাবে না তবে এদের উৎপাত কমানোর পদক্ষেপ তো নিতেই পারে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা এমনটি আশা করছেন পৌরবাসী।

উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। অনেকেই মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউপির বাসিন্দা রাজু তালুকদার জানান, এ ইউনিয়নে কাউকে কোন দিন মশা দমনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখেননি তিনি। পৌরসভার বাসিন্দা আখিবুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাসে ঘোড়াঘাটে মশা বেড়েছে কয়েকগুণ। উপজেলা ও পৌরসভার অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলছে নাগরিক ভোগান্তিও। বলা যেতে পারে, সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেওয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, বর্তমান সময়টাই মশকনিধনের উপযুক্ত সময়। মশকনিধনের জন্য স্থানীয় সরকারের কাছে বাজেটগুলো আসে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের এ কাজগুলো যদি দৃশ্যমান হতো তাহলে মশার উপদ্রব কিছুটা হলেও কমানো যেত। এছাড়া সকলকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলনকে অফিসে না পেয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

অন্যদিকে উপজেলার ৩ নম্বর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘মশকনিধনের বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আমি পাইনি। আমার নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব নেওয়ার ২ বছরেও আজ পর্যন্ত মশকনিধনের কোনো বাজেট আমার ইউনিয়ন পরিষদের আসেনি।’ তবে পরিষদে কেউ সমস্যার কথা জানালে ব্যক্তি উদ্যোগেই তা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি। এদিকে উপজেলা ও পৌরসভার সিংহভাগ বাসিন্দা মশকনিধন অভিযান পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close