পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

কক্সবাজার

পেকুয়ায় দুটি মন্দিরের রাস্তা বন্ধ করল প্রভাবশালীরা

চলাচল পথ অবরুদ্ধ বা আটকানোর অধিকার কারো নেই বলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি * এ জায়গা আমাদের বলে দাবি করছেন উত্তম কুমার ও পাঙ্গাস শীল

পূর্ব শত্রুতার জেরে কক্সবাজারের পেকুয়ার শিলপাড়ায় দুটি মন্দিরে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। মন্দিরগুলো হলো শিলখালীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের শিলপাড়ায় বিষ্ণ মন্দির ও হরিমন্দির। শিক্ষার্থীরাও চলাচলে বেকায়দায় পড়েছে জানায় আসরত নছরত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের পথ উদ্ধার করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবেন জানায় শিলপাড়ার বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিলপাড়ার অশি^নী কুমার শীলের ছেলে উত্তম কুমার ও গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে পাঙ্গাস শীল পথটি বন্ধ করে দিয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার যাতায়াত করে। পাহাড়ের টিলায় বিষ্ণ ও হরি মন্দির রয়েছে। এ মন্দির দুটিতে যোগাযোগের জন্য এ পথটি গুরুত্বপূর্ন। শিলপাড়ার বাসিন্দারা এ পথ দিয়ে বাড়ি ঘরে যাতায়াত করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন সওদাগর, জসিম সওদাগর জানান, এটি খুবই মারাত্মক আচরণ। এ পথ শত বছরের। দুটি মন্দিরে প্রার্থনা করতে হিন্দুরা এ পথ ব্যবহার করেন। এটি আটকানোর ফলে এখন এক কিলোমিটার দূরবর্তী স্থান দিয়ে মন্দিরে যেতে হচ্ছে। আছরত নছরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এ পথ দিয়ে সহজে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতো।

পল্লী চিকিৎসক দুলাল শিল, বান্ডু কুমার শিল, সমির কুমার শিল, সুমি রাণী শীল, বেবী রাণী শিলসহ শিলপাড়ার বাসিন্দারা বলেন, ‘আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। মন্দিরে গিয়ে পূজা পর্বণ ও প্রার্থনা সভায় মিলিত হওয়া যাচ্ছে না। আমরা গণস্বাক্ষর নিয়েছি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।’

আছরত নছরত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া বেগম বলেন, কিছুদিন আগে আমি শিশু জরিপ করতে গিয়েছিলাম। পথটি আটকানোর কারণে অনেক দূর দিয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে। আমার বিদ্যালয়েও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এদিকে উত্তম কুমার ও পাঙ্গাস শীল বলেন, ‘এ জায়গা আমাদের। স্থানীয়রা জবরদখল করে এই জায়গায় বসবাস করেছে।’ পেকুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। চলাচল পথ অবরুদ্ধ বা আটকানোর অধিকার কারো নেই। আমি সার্বজনীন স্বার্থ নিয়ে কাজ করি। আমি পথটি খোলার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আপোষের মাধ্যমে পথটি খুলে দিতে।’

পেকুয়ার নতুন ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close