সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১১ অক্টোবর, ২০২১

রাস্তার অভাবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বেংনাই উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। এতে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কলার ভেলায় অথবা ধানখেতের মাঝ দিয়ে কাদা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা পায়নি শিশু শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই রাস্তা নির্মাণে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

সড়ক থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে মাঠের ভেতরে বেংনাই উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯৮৮ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যাতায়াতের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপরে নির্মিত হয় একটি কালভার্ট। কিন্তু সেটা এখন কোনো কাজেই আসছে না। কালভার্টটির উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় পানির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কালভার্টটি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পানি কমে যাওয়ায় জমির আইল ও বাড়ির ওপর দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। আবার সেই বাড়িগুলো পেরিয়ে যেতে হতো কাদা পানি মাড়িয়ে। আর বর্ষার সময় কলা গাছের ভেলাই একমাত্র ভরসা স্কুল যাওয়ার জন্য।

স্থানীয় আবিদ হোসেন সাদী ও আবদুস সালাম বলেন, বর্ষায় যখন কলাগাছের ভেলায় শিশুরা স্কুলে যায় তখন প্রতিটি অভিভাবক আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। এছাড়াও শুকনো মৌসুমে স্কুলে যেতে হয় অনেকের বাড়ির ও জমির ওপর দিয়ে। ফসলের ক্ষতির কারণে অনেকে খারাপ আচরণ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক উম্মে জান্নাতি বলেন, স্কুলে বর্তমানে মোট ২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সুফল আজও মেলেনি। শিশুরা বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলার ভেলায় করে এবং পানি কমলে কাদাপানি পাড়ি দিয়ে স্কুলে আসে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আবদুর রহিম মাস্টার বলেন, এখানে একটি রাস্তার ফুট ওভারব্রিজ খুবই দরকার। পাশেই একটি ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। রাস্তাটি হলে সবারই উপকার হবে।

পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম বলেন, সেখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে এডিপির দুই লাখ টাকার একটি কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ঠিকাদার তখন কাজ শেষ না করেই অফিস থেকে বিল তুলে নেয়। আমি চেষ্টা করব শিশুদের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার।

রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সরকারি হয়, কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তা না হওয়াটা খুব দুঃখজনক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close