পাবনা প্রতিনিধি

  ১৫ আগস্ট, ২০২০

করোনার প্রভাবে পাবনায় পোলট্রিশিল্পে বিপর্যয়

করোনাভাইরাসের প্রভাবে পাবনায় পোলট্রি শিল্পে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গেল প্রায় ৫ মাসে লোকসান গুনতে গুনতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পোলট্রি খামার। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এখনো কিছু খামার সচল রয়েছে। তবে উৎপাদন ঘাটতি আর পরিবহন সংকটের অযুহাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খামার ব্যবসায়ীরা। পোলট্রিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পাবনা জেলায় ছোট বড় মিলে মোট দুই হাজার ৭৩৫টি পোলট্রি খামার রয়েছে। এসব খামারে ব্রয়লার এবং লেয়ার মুরগী পালন করা হয়। ব্যবসা মন্দা থাকায় প্রায় ১ হাজার ৪৫৫টি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। পোলট্রি খামারগুলো টিকিয়ে রাখতে প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক চেষ্টা চলছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে পোলট্রি খামারিরা পড়েছেন মহাবিপদে। পোলট্রি খামার ব্যবসা ও প্রাণিজ প্রোটিনের উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে সরকারের ভর্তুকি বা বিশেষ প্রণোদনার বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পাবনা সদর উপজেলার রানীগ্রামের পোলট্রি খামারি তরুণ উদ্যোক্তা শুভ রহমান বলেন, তার খামারে দুই হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। আগে এক বস্তা (৫০ কেজি) মুরগির খাদ্যের দাম ছিল এক হাজার ৬৫০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৭০০ টাকা। এদিকে উৎপাদিত ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। ডিমের দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। পোলট্রি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তিনি সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি করেন।

তিনি আরো জানান, খামার পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ প্রায় ১০০ টাকার উপরে। লোকসানের শিকার হয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই দেখা দিতে পারে প্রাণিজ প্রোটিনের ঘাটতি।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অন্যান্য জেলার চেয়ে পাবনায় খামারের সংখ্যা অনেক বেশি। সে মোতাবেক এই সংকটময় সময়ে খামারিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থাসহ সকলের প্রচেষ্টায় পোলট্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সার্বিক চেষ্টা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close