মো. ইমরান, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

পটুয়াখালী কলাপাড়া

নতুন পন্টুনে ভিড়ছে না লঞ্চ ভোগান্তিতে চরাঞ্চলের মানুষ

রয়েছে নির্দিষ্ট লঞ্চ টার্মিনাল। যাত্রীদের উঠা-নামায় জন্য রয়েছে পন্টুন, বেইলি ব্রিজ। মাত্র কয়েকমাস পূর্বেই লঞ্চ যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুনভাবে বেইলি ব্রিজ নির্মাণসহ সংযোজন করা হয়েছে নতুন একটি পল্টুনের। কেবলমাত্র ঘাট ইজারাদারের খামখেয়ালিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এ লঞ্চঘাটটিতে ভিড়ছেনা অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলকারী কোন লঞ্চ কিংবা ট্রলার। প্রভাবশালী ইজারাদারের প্রকাশ্য চাপে লঞ্চ ভিড়াতে হচ্ছে ইজারাদারের স্বমিল ঘাটে। এতে প্রায়শ:ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও প্রতিকার পায়নি সাধারন যাত্রীরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কলাপাড়া পৌর শহরের বাজার স্লুইস এলাকায় নুরুল হক মুন্সির স্ব-মিল এবং ইজারাদারের রাইচ মিলের পাশেই ভিড়ছে কলাপাড়া-মৌডুবি রুটে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি লঞ্চ। এখানেই টেবিল-চেয়ার পেতে ইজারাদারের লোকজন যাত্রীসহ পন্য পরিবহনের টোল আদায় করছেন। ঘাটের পাশেই নদীর পাড় জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গোল গাছ। রয়েছে বড় বড় গাছের স্তুূপ। এরই মধ্য দিয়ে চরম ভোগান্তিসহ ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ওঠা নামা করছে রাঙ্গাবালি উপজেলাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে শহরে আসা বিভিন্ন বয়সের কয়েক হাজার যাত্রী। ঝুঁকি নিয়েই পণ্য পরিবহন করছে শ্রমিকরা।

কলাপাড়া-মৌডুবী রুটে চলাচলকারী এমএল রূপসী তুষার-২ লঞ্চের কেরানী আ. জব্বার বলেন, যাত্রীসহ পন্য পরিবহন এবং লঞ্চ ভিড়ানো চরম ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ইজাদারের চাপে এখানে লঞ্চ ভিড়াতে হচ্ছে। একই অভিযোগ এমএল রাহাত লঞ্চের কর্মচারীদের। লঞ্চ ভিড়াতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইজারাদাররা তাদের নানা ভাবে হয়রানি করার কারণে তারা অভিযোগ করে না।

মৌডুবীর লঞ্চযাত্রী রাশেদ বলেন, ঝুঁকি নিয়ে দুরুদুরু বুকে লঞ্চে উঠলাম। নামার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সাহস পাচ্ছিনা। একই কথা বললেন লঞ্চের বেশ কয়েকজন যাত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, যাত্রীদের এই ভোগান্তি নিরসনে ইজাদারের খামখেয়ালীর লাগাম টেনে ধরার ক্ষমতা কি কারো নেই!

ঘাট ইজারাদার তানভীর মুন্সী বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি চাইলেও কর্তৃপক্ষ ঘাটে লঞ্চ ভিড়াচ্ছেনা।

পটুয়াখালী নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের সুবিধার্থে কয়েক লাভ টাকা খরচ করে কলাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাটটি নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে। অথচ সেখানে দোতলা লঞ্চ ছাড়া অভ্যন্তরীন রুটের কোন লঞ্চ ভিড়ছেনা এমন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close