পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননী এক গার্মেন্টস কর্মীকে হোটেলে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিপুর থানা পুলিশের একটি টিম কুয়াকাটা বেঙ্গল গেস্ট হাউজে অভিযান চালিয়ে ভূক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে এ ঘটনায় বাদি হয়ে ওই নারী পাঁচজনসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

আটককৃতরা হল আলমগীর (৪২), রুবেল চৌকিদার (৩৫), বেঙ্গল গেস্ট হাউজের ম্যানেজার সাইদুর রহমান সুমন (২৬), তার সহকারী খলিলুর রহমান (৩৫) ও যমুনা গেস্ট হাউজের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম (৫৭)। আটককৃতদের সকলের বাড়ি পটুয়াখালীর মহিপুর থানার বিভিন্ন এলাকায়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে মহিপুর থানায় প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার মাইনুল হোসেন।

প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ জানায়, জীবিকার তাগিদে ছোট দুই মেয়ে সন্তানকে রেখে ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন ওই নারী। মোবাইল ফোনের সূত্রে কুয়াকাটার জনৈক শহীদুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শহীদুলের আমন্ত্রনে কুয়াকাটা ঘুরতে এসে তিনি ধর্ষকদের কবলে পড়েন। কৌশলে ধর্ষকরা ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কুয়াকাটা বেঙ্গল গেস্ট হাউজ ও যমুনা গেস্ট হাউসে আটকে রেখে গনধর্ষণ করে।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মাইনুল হোসেন বলেন, ভিকটিমকে উদ্বার করা হয়েছে। ধর্ষকদের উপযুক্ত বিচারের জন্য সব রকম আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

"