নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ জুলাই, ২০২১

ডিএনসিসির অভিযানে কাউন্সিলরকে জরিমানা

মশক নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনী দিনে খোদ নিজেদের এক কাউন্সিলরকে জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনের অংশীদারে মালিকানা থাকা একটি বিপণিবিতানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তাকে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএনসিসির অভিযানিক দল।

গতকাল সকালে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা যখন এই অভিযান উদ্বোধন করেন তখন সেখানে কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের এক পর্যায়ে রূপনগর বিপণিকেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করা হলে সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে মালিক কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হিসেবে তোফাজ্জল হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানার পর কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার আমার কার্যালয়ে থাকা ওষুধগুলো দিয়ে আমি তাদের বলেছিলাম জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলতে। কিন্তু তারা কথা শোনেননি। তাই জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে অবশ্য উদ্বোধনী পর্বে নিজ ওয়ার্ডকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বলে দাবি করেছিলেন এই কাউন্সিলর। এমনকি এডিস মশা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ফেসবুকে অপপ্রচার করছে বলেও দাবি করেছিলেন তোফাজ্জল। তোফাজ্জল হোসেনের শপিং মল ছাড়াও অভিযানের প্রথম দিনে এখন পর্যন্ত আরো দুইটি স্থাপনার মালিককে জরিমানা করা হয়। তারা হলেন ১৮ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন ভবনের মালিক সেলিম দেওয়ানকে ৫০ হাজার টাকা ও ১৭ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাসার মালিক শাহ আলম মোল্লাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএসসিসির মোবাইল কোর্ট ৩ লাখ টাকা জরিমানা : এডিস নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১১ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বোম্বে সুইটসসহ ২৩ ভবনকে ৩ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১-এর সিদ্ধেশ্বরীতে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২-এর খিলগাঁওয়ে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩-এর আজিমপুরে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫-এর মানিকনগরে মুহাম্মদ হাসানাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৬-এর ইমামবাগ ও জোরভিটায় শাহীন রেজা, অঞ্চল-৮-এর ডগাইর পশ্চিমপাড়ায় কাজী হাফিজুল আমিন, অঞ্চল-৯-এর মাতুয়াইলে বিকাশ বিশ্বাস এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১-এর এলিফ্যান্ট রোডে মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৪-এর ইমামগঞ্জে মো. হায়দার আলী এবং অঞ্চল-১০-এর কদমতলি এলাকায় মো. মামুন মিয়া এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো এ সময় ৩৯৪টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং বোম্বে সুইটসসহ মোট ২৩টি প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-১০-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘অভিযানে আমরা বোম্বে সুইটসের কারখানার বেজমেন্টে মশার লার্ভা পেয়েছি। তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের পাশাপাশি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close