নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮

নতুন ক্যাম্পাসে বাড়তি ফি উদ্বিগ্ন ব্র্যাক শিক্ষার্থীরা

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের বছরে গুনতে হবে বাড়তি ২১ হাজার টাকা, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ক্যাম্পাস পরিচালনা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্যই বাড়তি ওই টাকা তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলেছে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাদের কিছু জানানোই হয়নি।

গত ১০ জানুয়ারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক নোটিসে বলা হয়, রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০২০ সাল থেকে সব প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সেখানে বলা হয়, নতুন ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে এবং নতুন ক্যাম্পাসের সুবিধা গ্রহণ করতে বর্তমান ও নতুন সব শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে অতিরিক্ত সাত হাজার টাকা করে দিতে হবে, অর্থাৎ বছরে তিন সেমিস্টারে দিতে হবে মোট ২১ হাজার টাকা। নোটিসে এই বাড়তি অর্থকে ‘ক্যাম্পাস উন্নয়ন ফি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ওই ফি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া তাহসিন মাহমুদ বলেন, ভর্তি হওয়ার আগে তিনি ওয়েবসাইটে দেখেছিলেন সম্মান শেষ করতে তার মোট আট লাখ ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। ২৭ ডিসেম্বর তার ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ৩ জানুয়ারি নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের জানান, ২০২০ সাল থেকে প্রতি সেমিস্টারে সাত হাজার টাকা করে ‘ক্যাম্পাস উন্নয়ন’ ফি দিতে হবে। এরপর ১০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত ফি’র ওই নির্দেশনা আসে। তাহসিন বলেন, আমি তো পুরনো ক্যাম্পাসেই ভর্তি হয়েছি একটা এস্টিমেটেড হিসাব দেখে। নতুন ক্যাম্পাস তো আমার ইচ্ছায় হচ্ছে না। অতিরিক্ত ফিটা আমার জন্য চাপ মনে হচ্ছে।

চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রুমিন রহমান এখন হিসাব করছেন, ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর অন্তত এক বছর লাগবে তার স্নাতক শেষ করতে। অর্থাৎ তাকেও এক বছর ওই বাড়তি টাকা দিতে হবে। তিনি বলেন, এমন তো না যে নতুন ক্যাম্পাসের কিছু অংশ আমি পাব। বাড়তি ২১ হাজার টাকা কোন হিসাবে দেব আমি বুঝতে পারছি না। বাবার একটা বাজেট ছিল আমাকে এখানে ভর্তি করার সময়। সেটা তিনি আলাদা করে রেখেছেন। এমনিতেই এত টাকা দিয়ে পড়ছি, আবার এই অতিরিক্ত ফি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist