ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৯ মার্চ, ২০২৪

সাদা বলে জ্বলে উঠলেন রিশাদ

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা ম্যাচ খেলার সুযোগ আগে কখনোই পাননি রিশাদ হোসেন। এবার সুযোগটা পেয়ে পারফরম্যান্স দিয়েই রাঙিয়ে চলেছেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে ভালো বোলিংয়ের ধারাবাহিকতায় নিজেকে ছাড়িয়ে এবার ক্যারিয়ারের প্রথম এক অর্জন ধরা দিল তরুণ এ লেগ স্পিনারের।

প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গতকাল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৪৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন রিশাদ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তো বটেই, সাদা বলের স্বীকৃতি ক্রিকেটেই প্রথমবার এ স্বাদ পেলেন তিনি।

লাল বলের ক্রিকেটে ১৯ ম্যাচ খেলে দুই দফায় ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তার সেরা বোলিং ২২ রানে ৪ উইকেট। ওই একবারই পেয়েছেন ৪ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সেরা বোলিং ছিল ২৯ রানে ৪ উইকেট।

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে দারুণভাবে তুলে ধরেছেন রিশাদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। নিজের মূল কাজ বোলিংয়েও রেখেছেন উন্নতির ছাপ। ২১ বছর বয়সি ক্রিকেটার সেই ধারাবাহিকতা এবার ধরে রাখলেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও।

তার জন্য ব্যাপারটি এরকম উল্টোই। জাতীয় দলের সঙ্গে বা আশপাশে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই আছেন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটেই নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এবারের বিপিএলেই যেমন, সীমিত সুযোগে বেশ ভালো বোলিং করলেও তারকাসমৃদ্ধ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শুধু চারটি ম্যাচের একাদশে ঠাঁই মেলে তার।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট তার সুযোগ ছিল আরো অপ্রতুল। ২০২২ সালে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলার পর আরেকটি ম্যাচ খেলতে অপেক্ষা করতে হয় এক বছরের বেশি। দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেন ২০২৩ সালের এপ্রিলে। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে সেই ম্যাচে ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি সিটি ক্লাবের বিপক্ষে। পরের ম্যাচেই আবার একাদশের বাইরে রাখা হয় তাকে। সেবারের লিগে স্রেফ আর একটি ম্যাচে খেলানো হয় তাকে।

দুই মৌসুমের লিগে স্রেফ সেই তিন ম্যাচের অভিজ্ঞতায় গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে রাখা হয় তাকে। দুটি ম্যাচও খেলেন সেখানে। উইকেট না পেলেও বোলিং খারাপ করেননি। এরপর এবার শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটিতে খেলানো হয় তাকে। বল হাতে সেদিন একটি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৮ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস তিনি উপহার দেন।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবারও তার যথেষ্ট ম্যাচ খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তারকা সমৃদ্ধ আবাহনী লিমিটেডে ছিলেন তিনি। এই দলে থাকলে তার নিয়মিত ম্যাচ পাওয়া কঠিন হবে বুঝেই কোচ খালেদ মাহমুদ তাকে দিয়ে দেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে।

রিশাদের জন্য তা দারুণ ব্যাপার হয়েই আসে। লিগের প্রথম ম্যাচেই তিন উইকেট নেন তিনি, পরের ম্যাচে উইকেট একটি। এরপর এই ৫ উইকেট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close