ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মুকুট ধরে রাখতে চান মেয়েরা

ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে অনুশীলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ফুটবলাররা। শিরোপা জেতার চেয়ে শিরোপা ধরে রাখা কঠিন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে এখন সেই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। আজ থেকে তাদের অবতীর্ণ হতে হবে ‘সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিযনশিপ’-এর দ্বিতীয় আসরে। মুকুট ধরে রাখতে চান আফিদা-স্বপ্নারা।

এই আসরে অংশ নেবে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল ও ভুটান। লিগ ভিত্তিতে খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে ২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং ৬ ফেব্রুয়ারি ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। এই আসরে বাংলাদেশ হচ্ছে বর্তমান শিরোপাধারী। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরের ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভারতকে। ওই আসরটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল কমলাপুরে। গত ২৯ জানুয়ারি বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট দল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। দলের ৯৫ শতাংশ খেলোয়াড়ই নতুন। এতের ১৪ জনই এসেছেন অনূর্ধ্ব-১৭ দল থেকে। ট্রায়ালের মাধ্যমে বিকেএসপি থেকে নেওয়া হয়েছে তিনজনকে।

মানিকছড়ি ফুটবল একাডেমি থেকে নেওয়া হয়েছে আরেকজনকে। এ ছাড়া ৫ জন এসেছেন সিনিয়র দল থেকে। কোচ টিটু স্বীকার করেছেন তার দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা ২০২১ সালের শিরোপাজয়ী দলের চেয়ে কম। আর ফুটবলমোদিরা মনে করেন ২০২১ সালের মারিয়া, মনিকা, আঁখি, ঋতুপর্ণা, মৌসুমী, স্বপ্না, তহুরা, শামসুন্নাহারদের মতো অতটা মেধাসম্পন্ন নয় বর্তমান দলটি। ফলে তাদের অনভিজ্ঞতাই হচ্ছে দলের জন্য নেতিবাচক দিক, যা ভোগাতে পারে তাদের।

আরেকটা সমস্যা হচ্ছে প্রতিপক্ষ দলগুলোর (বিশেষ করে ভারত ও নেপাল) খেলার কোনো ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে না পারায় তাদের সম্পর্কে কেমন কোনো পরিষ্কার ধারণা পেতে পারেনি আফঈদা-স্বপ্নারা। এক্ষেত্রে কোচ টিটু ধরেই নিয়েচেন দল দুটি সিনিয়র জাতীয় দলের সমপর্যায়ের হতে পারে। ফলে সেভাবেই তিনি নিজের দলকে প্রস্তুত করছেন।

টিটুর দল অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে। সপ্তাহে একটি করে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলছে মেয়েরা। সবকিছু মিলিয়ে টিটুর শিষ্যরা শিরোপা ধরে রাখতে আশাবাদী। ‘তবে কথাকে কাজে পরিণত করাটা খুবই কঠিন হবে।’ এমনটাই মনে করেন কোচ টিটু। আর বাংলাদেশ দলের দুটি প্লাস পয়েন্টও আছে। প্রথমত দলটি খেলবে নিজেদের পরিচিত মাঠে, দ্বিতীয়ত প্রচুর দর্শক সমর্থক পাবে তারা, যা তাদের ভালো খেলতে উজ্জীবিত করবে। টিটুর দলে সিনিয়র দলে খেলেছে, এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা ৫ জন।

তারা হলেন স্বর্ণা রানী মণ্ডল, ইতি খাতুন, স্বপ্না রানী, আফেঈদা খন্দকার প্রান্তি এবং সুরমা জান্নাত। তবে এরা সিনিয়র দলে খুব বেশি ম্যাচও খেলেননি। স্বর্ণা ১, আফঈদা ৭ ও স্বপ্না ৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু সুরমা এবং ইতি কোনো ম্যাচ খেলেননি। বাংলার বাঘিনিদের যেমন অনভিজ্ঞতা আছে, তেমনি স্বাগতিক হিসেবেও তারা সুবিধা পাবে। সেই সঙ্গে যদি ভাগ্যের ছোঁয়া থাকে তাহলে শিরোপা তারাই ধরে রাখতে পারবে তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close