ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

বাবর-ওমরজাইয়ের ব্যাটে রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়

অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই জমিয়ে তুলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে একপর্যায়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। এমন পরিস্থিতিতে এই ম্যাচে রংপুরের জয় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তবে, অভিজ্ঞ বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন। সিলেটকে হারিয়ে আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল রংপুর।

গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২০ রান তোলে সিলেট। জবাবে ১৮ দশমিক ২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তোলে রংপুর। ব্যাট হাতে রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন বাবর।

১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেননি ওপেনার রনি তালুকদার। দলীয় ১২ রানের মাথায় তার বিদায়ে প্রথম ধাক্কা খায় রংপুর। ৭ বল খেলে ৬ রান করেন রনি। তার বিদায়ের পর ব্রেন্ডনও দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। দলীয় ২৪ রানের মাথায় ডাক মেরে বিদায় নেন এ ব্যাটার।

শুরুতে ২ উইকেট হারানোর চাপ সামাল দিতে পারেনি রংপুর। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে আরো ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তবে একপ্রান্ত আগলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাবর আজম। এই জুটিতে আসে ৬৮ বলে ৮৬ রান।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুন জুটি গড়তে পারেননি। দলীয় ১৩ রানের মাথায় মেহেদী হাসানের বলে কিছুটা এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে রান আউট হন মিথুন। ৩ বল খেলেও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর অনেকটা অবাক করেই ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে নামেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

মাশরাফিকে ওপরে ব্যাটিং করিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। দলীয় ২৪ রানের মাথায় রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৭ বলে মাশরাফির ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। মাশরাফির বিদায়ের পর মারকুটে ব্যাটার ইয়াসির রাব্বিও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি।

দলীয় ৩৩ রানের ইয়াসিরের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় সিলেট। ৬ বলে ৯ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ইয়াসিরের বিদায়ের ৩ রানের মাথায় ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকির হাসান। চার বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। জাকিরের বিদায়ের পর দ্রুত আরো ১ উইকেট হারায় সিলেট।

দলীয় ৩৯ রানে ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে সিলেটের বড় স্কোরের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। পরে বেন কার্টিং ও বেনি হাওয়েলের ব্যাটে ম্যাচে ফেরে সিলেট। এই জুটিতে যোগ হয় ৬৮ রান। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় রিপন মণ্ডলের বলে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন কাটিং। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩১ রান।

বেনি হাওয়েলের দৃঢ়তায় শেষমেশ ১২০ রানে থামে সিলেট। রংপুরের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রিপন মণ্ডল ও মেহেদী হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট স্ট্রাইকার্স : ২০ ওভার ১২০/৮; (শান্ত ১৪, মিঠুন ৫, মাশরাফি ৬, ইয়াসির ৯, জাকির ১, বেনি ৪৩, কাটিং ৩১, তানজিম ২, দুশান ১, রিচার্ড ১; ওমরজাই ১০/০, মেহেদী ১৮/২, হাসান ২৬/০, নবী ১৭/১, হাসান ২৯/১, মন্ডল ১৯/২)।

রংপুর রাইডার্স : ১৮.২ ওভার ১২৫/৬; (রনি ৬, বাবর ৫৬*, ব্রেন্ডন ০, নুরুল ৮, শামীম ২, নবী ০, মেহেদী ০, ওমরজাই ৪৭*; রিচার্ড ২৮/১, তানজিম ৩৬/১, নাজমুল ১৮/১, দুশান ২০/৩, হাওয়েল ২২/০)।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close