ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ধুঁকতে থাকা ঢাকায় পরাস্ত বরিশাল

পয়েন্ট টেবিলে ধুঁকতে থাকা ঢাকা ডমিনেটর্সের সামনে সুবিধা করতে পারল না পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা সাকিবদের ফরচুন বরিশাল। সৌম্য-নাসিরদের দল ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে।

গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ইনিংস শুরু করে দুই ওপেনার বিজয় ও সাইফ হাসান পাওয়ার-প্লেতে ৪১ রানের সংগ্রহ এনে দেন। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ঢাকার আফগানিস্তানি স্পিনার আমির হামজা। ৩টি চারে ১৯ বলে ১৫ রান করা সাইফকে শিকার করেন হামজা।

দলীয় ৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। তবে ৬৬ রানের মধ্যে আরো ৩ উইকেট হারালে দলটির ওপর চাপ আরো বাড়ে। মিডল-অর্ডারের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার সাকিব ৫, আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান ২ ও পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ ১০ রানে বিদায় নেন। তিন উইকেট ভাগাভাগি করে নেন মুক্তার আলি-হামজা ও অধিনায়ক নাসির হোসেন।

সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয়। ১৪তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে বিজয়কে থামান সৌম্য সরকার। ৩৫ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪২ রান করেন ওপেনার বিজয়।

এরপর জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ ও সালমান হোসেন। ঢাকার পাক পেসার সালমান ইরশাদের করা ১৮তম ওভারে ১৯ রান তুলেন মাহমুদুল্লাহ ও সালমান।

বাউন্ডারি দিয়ে ১৯তম ওভার শুরু করলেও, পেসার শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় বলে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে ২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে উইকেটে এসে ওই ওভারের শেষ তিন বলে ২টি ছয় ও ১টি চার মারেন আফগানিস্তানের করিম জান্নাত। এতে ওভার থেকে ২০ রান পেয়ে দেড়শ রান স্পর্শ করে বরিশাল।

সালমান ইরশাদের করা ইনিংসের শেষ ওভারে সালমান ও জানাতকে হারিয়ে মাত্র ৬ রান পায় বরিশাল। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বরিশাল। সালমান ১২ বলে ১৪ ও জানাত ৫ বলে ১৭ রান করেন। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম। ঢাকার হামজা ২২ রানে ২ উইকেট নেন।

১৫৭ রানের জবাবে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিথুন। প্রথম ৬ ওভারে ৫৫ রান তুলেন তারা। এ সময় ২৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ রানে অবদান ছিল ওপেনার হিসেবে নামা মিথুনের। ১২ বলে ১৮ রান করেছিলেন সৌম্য। পাওয়ার প্লে শেষে মারমুখী হন সৌম্য।

অষ্টম ওভারে দলীয় ৭৪ রানে আউট হন সৌম্য। বরিশালের জানাতের বলে বিদায় নেন ২২ বলে বার বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে ৩৭ রান করা সৌম্য।

সৌম্য ফিরলেও মিথুনের ব্যাটে চড়ে ১১তম ওভারেই ঢাকার রান তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শ করে। ওই ওভারেই চার মেরে ৩৩ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মিথুন।

১২তম ওভারে বরিশালের স্পিনার সানজামুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর আউট হয়ে থামেন ৩৬ বল খেলে ৫৪ রান করা মিথুন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি।

তিন নম্বরে নামা আবদুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৬। ১টি চার ও ২টি ছয় মারেন তিনি।

মামুনের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে ১৯ বলে ২৯ রান তুলে ঢাকার জয়ের পথ সহজ করেন নাসির ও ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ব্লেক জুটি।

১৮তম ওভারে ব্লেককে ১৫ ও আরিফুল হককে ১ রানে শিকার করেন সাকিব। এতে ম্যাচে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হলেও, ১৯তম ওভারে ৪ রানের প্রয়োজন মিটিয়ে জয়ের স্বাদ পায় ঢাকা। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন নাসির। ২ রানে অপরাজিত থাকেন আফগানিস্তানের উসমান ঘানি। বরিশালের সাকিব ১৮ রানে ও সানজামুল ৩৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close