ময়মনসিংহ (মহানগর) প্রতিনিধি

  ০১ অক্টোবর, ২০২২

কলসিন্দুর কন্যারা পেলেন পুলিশের বর্ণিল সংবর্ধনা

হিমালয় জয় করে দেশে ফেরার পর থেকেই একের পর এক বীরোচিত সংবর্ধনায় সিক্ত হচ্ছেন বাংলার নারী ফুটবলাররা। সাফজয়ী দলের কলসিন্দুরের আট ফুটবলকন্যা নিজেদের জেলা ময়মনসিংহে ফিরেও পাচ্ছেন অভ্যর্থনা ও ভালোবাসা। এবার জেলা পুলিশের বর্ণিল সংবর্ধনা পেলেন আট নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, দুই শামছুন্নাহার, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, সাজেদা আক্তার ও মার্জিয়া আক্তার।

গতকাল সকালে নগরীর টাউন হল মোড়ের পুলিশ অফিসার্স মেস থেকে ফুলের মালা পরিয়ে দুটি ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিশেষ নিরাপত্তায় পুলিশ লাইন্সের সংবর্ধনাস্থলে নেওয়া হয় ফুটবলার ও তাদের গড়ার কারিগরদের। মঞ্চে ওঠার পর জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। এছাড়াও তাদের দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার। পুলিশের এমন আয়োজনে আপ্লুত এই মেয়েরা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। এছাড়াও বক্তব্য দেন নারী ফুটবলার গড়ার কারিগর কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি রানী শীল, কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন, কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকার, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ রানা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি সাজ্জাত জাহান চৌধুরী শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম, নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তার ও মারিয়া মান্ডা। এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং ফুটবলকন্যাদের পরিবারের সদস্যসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফুটবলার সানজিদা আক্তার বলেন, নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে মানুষের এত ভালোবাসা পাব তা কোনোদিন ভাবতে পারেনি। এমন সংবর্ধনা আমাদের ভালো খেলার স্পৃহা বাড়িয়ে দিবে। আরেক ফুটবলার মারিয়া মান্ডা বলেন, নিজ জেলা শহরে দুদিনের বর্ণিল আয়োজনে আমরা মুগ্ধ। জেলা পুলিশ যেভাবে সুশৃঙ্খল আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বরণ করেছে তাতে আমরা খুবই আনন্দিত।

কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকার, এই সংবর্ধনা মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে আরো ভবিষ্যৎ ফুটবলার তৈরিতে। আমার প্রতিষ্ঠানে আরো ৫০ জন ফুটবলার আছে। তারাও সানজিদাদের এই জয়জয়কার দেখে উজ্জীবিত হবে। তাদের হাত ধরে এক দিন তারা বিশ্ব জয় করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা বলেন, হিমালয় জয় করা মেয়েদের সংবর্ধিত করতে পেরে আমরা নিজেরা গর্বিত ও আনন্দিত। ফুটবলের উন্নয়নে মেয়েদের পাশে থেকে জেলা পুলিশ তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। কারণ এটি শুধু ফুটবলের বিজয়ই না এটি নারীদের এগিয়ে যাওয়ার একটি স্বার্থক রূপায়ণ।

রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতে আজ মেয়েরা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হিমালয় জয় করেছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু না হলে মেয়েদের কারণে দেশের এত সুনাম হতো না। আমি প্রত্যাশা করি, মেয়েরা তাদের এ অর্জন ধরে রাখবে ও এগিয়ে যাবে বীরদর্পে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close