ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

অবশেষে সালাহর ঝলক

মিসর ১ : ০ গিনি বিসাউয়ে

গোলটা দেখে অনেকের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার মার্কো ফন বাস্তেনের কথা মনে পড়ে যেতে পারে। পার্থক্য শুধু দুই জায়গায়। বাস্তেন অনন্য সাধারণ সেই ভলি করেছিলেন ডান পায়ে, আর মোহাম্মদ সালাহ করলেন বাঁ পায়ে।

গুরুত্বের বিচারে ফন বাস্তেনের গোলটা সালাহরটার চেয়ে অনেক অনেক ওপরে থাকবে, কিন্তু তাই বলে রোমাঞ্চপিয়াসী ফুটবলপ্রেমীদের মিল খুঁজতে সমস্যা কোথায়।

ফন বাস্তেন গোলটা করেছিলেন ১৯৮৮ ইউরোর ফাইনালে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে। সালাহ করলেন এবারের আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচে, গিনি-বিসাউর বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হেরে বড়সড় ধাক্কাই খেয়েছিল সালাহর মিসর। সে ম্যাচে ১-০ গোলে হারার কারণে গত রাতে সালাহদের জিততেই হতো।

আফকনের ইতিহাসে মিসর সফলতম দল, জিতেছে সাতটি শিরোপা, কিন্তু সব কটিই সালাহ-জামানার আগে। এবার মিসরকে শিরোপা জিতিয়ে নিজের একটা অপ্রাপ্তিও ঘোচাতে চান লিভারপুলের এই উইঙ্গার। প্রথম ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন। কিন্তু গিনি-বিসাউয়ের বিপক্ষে স্বরূপেই ছিলেন মিসরীয় তারকা। দলও জিতেছে ১-০ গোলে।

প্রথম ম্যাচে মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলালেও এই ম্যাচে মিসরের কোচ কার্লোস কুইরোজ সালাহকে খেলিয়েছিলেন তার পছন্দের জায়গায়, রাইট উইংয়ে। পুরো ম্যাচেই নিজের জাদু দেখিয়েছেন সালাহ। সালাহর জাদুতে ১৮ মিনিটেই মিসর এগিয়ে যেতে পারত, যদি লিভারপুল উইঙ্গারের অসাধারণভাবে বানিয়ে দেওয়া বলটা স্ট্রাইকার মোস্তফা মোহাম্মদ পোস্টে না লাগাতেন। পরে গোল করার কাজে সালাহ নিজেই এগিয়ে এলেন। ৬৯ মিনিটে স্টুটগার্টের মিডফিল্ডার ওমর মারমুশ আর অ্যাস্টন ভিলার মিডফিল্ডার ত্রেজেগের সহায়তায় বল চলে আসে মিডফিল্ডার আমর-আল সুলাইয়ার পায়ে। গোটা ম্যাচে অসাধারণ খেলা আল আহলির এই মিডফিল্ডার সামনে সালাহকে দেখেই বাতাসে ভাসিয়ে দেন বল। সে বলে ভলি করে দলকে এগিয়ে দেন সালাহ। ম্যাচসেরাও হয়েছেন সালাহ। তবে গিনি-বিসাউর কপাল খারাপ। স্ট্রাইকার মামা বালদের অসাধারণ এক গোল বাতিল হয়ে যায় শুধু গোল হওয়ার আগে মিসরের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close