ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

জাতীয় লিগেই শুরু পাক বধের প্রস্তুতি

বাংলাদেশ ক্রিকেট আপাতত তাকিয়ে আগামী মাসের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে বিশ্বকাপের পরপরই তো অপেক্ষায় আরেকটি বিশ্ব আসর। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পথচলা শুরু করবে বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশারের ধারণা পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটির জন্য প্রস্তুতি যথেষ্টই ভালো হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে।

আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হবে জাতীয় লিগের নতুন মৌসুম। বিশ্বকাপ দলের ক্রিকেটাররা ছাড়া অন্যরা অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও টেস্ট দলের আরও বেশ কজন খেলবেন জাতীয় লিগে। টেস্ট দলের সম্ভাব্য সদস্যদের জন্য এবার জাতীয় লিগ খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাবিবুল বাশার বলেন,

‘বিশ্বকাপের পরপরই আমাদের কিছু টেস্ট ম্যাচ আছে। এটা কিন্তু খেলোয়াড়দের তৈরি করার জন্যে ভালো একটি সুযোগ। আমরা খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। অনুশীলন ম্যাচ আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে তো পার্থক্য অবশ্যই আছে। পাকিস্তান সিরিজের আগে এনসিএলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে বলে মনে করি।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল আগামী ১৪ নভেম্বর। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৯ নভেম্বর। টেস্ট সিরিজ শুরু ২৬ নভেম্বর।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। একটি ড্র থেকে পাওয়া ২০ পয়েন্ট ছিল প্রাপ্তি। গোটা চক্রে একমাত্র জয়বিহীন দল ছিল বাংলাদেশই।

হাবিবুলের আশা, গতবারের মতো দুর্দশা এবার হবে না বাংলাদেশের।

‘এবার আমরা ভালো প্রস্তুতিতে নামতে যাচ্ছি। আশা করছি, ভালো শুরু যেন করতে পারি। শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গতবার আমরা যখন শুরু করেছি, তখন আমরা ভালো করতে পারিনি। গতবারের পুনরাবৃত্তি এবার আমরা চাই না। ভালোভাবে শুরু করতে চাই। দেশের মাটিতে খেলে শুরু করতে পারছি। যদিও পাকিস্তান খুব ভালো দল টেস্টে। তারপরও, আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’

হাবিবুল যেটিকে প্রস্তুতির মঞ্চ মনে করছেন সেই জাতীয় লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে বরাবরই। তবে এবার চেনা সংস্কৃতি বদলে দিয়ে যথেষ্ট গুছিয়ে জাতীয় লিগ আয়োজন করা হচ্ছে বলে বড় আশার ছবিও দেখছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

‘এবার আমরা একটু সময় নিয়েই এনসিএল শুরু করতে যাচ্ছি। দলগুলোকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত যখন এনসিএল শুরু করি, দলগুলো খুব একটা সময় পায় না। এবার প্রায় এক মাসের মতো সময় পাচ্ছে। ২০-২২ জনের দল করে দেওয়া হয়েছে। এখন ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। এক তারিখ থেকে ফিটনেস টেস্ট হবে। এর আগে ওরা এমন ট্রেনিংয়ের সুযোগ পায়নি। এবার সুযোগটা করে দেওয়া হয়েছে।’

‘ফিটনেস টেস্টের পর ১৬ জনের দল করা হবে। সব সময় আমরা ১৪ জনের দল দেই। এবার করোনার জন্য দুই জন বেশি দিচ্ছি। এরপর ওরা টুর্নামেন্টে চলে যাবে। তাদের স্কিল ট্রেনিং পাঁচ তারিখে শুরু হয়ে যাবে। সবাই যথেষ্ট সময় পাচ্ছে প্রস্তুতির জন্য। উইকেটগুলোও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছে কিছু দিনে। আশা করছি, এবারের এনসিএল খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’

অন্যদিকে লম্বা সময় পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়েই খেলায় ফিরেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবার তাদের সামনে অপেক্ষা করছে দেশের আরেকটি সিরিজের চ্যালেঞ্জ। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে খেলভে আইচ মোল্লাহরা।

গতকাল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা যুব দলের সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।

৭ অক্টোবর শ্রীলঙ্কায় পৌঁছাবে বাংলাদেশের যুবরা। করোনাভাইরাসের সময়কার নিয়মিত স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনে এগুবে সিরিজের কার্যক্রম।

১৫ অক্টোবর শুরু হবে প্রথম ওয়ানডে। বাকি ম্যাচগুলোর তারিখ ১৮, ২০, ২৩ ও ২৫ অক্টোবর। তবে ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত করেনি লঙ্কান বোর্ড। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে অম্ল মধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলেও একমাত্র যুব টেস্টে হেরেই যায় বাংলাদেশ।

আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে পরবর্তী যুব বিশ্বকাপ। এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে প্রস্তুত হতেই খেলছে এসব সিরিজ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close