উয়েফা ইউরোপা লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন গোলপোস্ট স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট। সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করলেন টটেনহাম হটস্পারের কোচ হোসে মরিনহো। পরে মেপে দেখা গেল, আসলেই তা আকারে ছোট।

পরশু রাতে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় শীর্ষ প্রতিযোগিতার তৃতীয় বাছাই রাউন্ডে টটেনহামের প্রতিপক্ষ ছিল উত্তর মেসিডোনিয়ার দল সিকেনদিয়া। এরিক লামেলা, সন হিউং মিন ও হ্যারি কেনের গোলে ম্যাচটি ৩-১ গোলে জেতে লন্ডনের ক্লাবটি। ম্যাচের আগেই গোলপোস্টের ব্যাপারটি টের পান ক্লাবের দুই গোলরক্ষক জো হার্ট ও হুগো লরিস। আর ম্যাচ শেষে বিষয়টি সামনে আনেন কোচ মরিনহো, ‘ম্যাচের আগে একটা মজার ব্যাপার ঘটেছিল। আমার গোলরক্ষকরা আমাকে ডেকে বলল, গোলপোস্ট ছোট।’

নিজে গোলরক্ষক না হলেও ব্যাপারটা সহজেই ধরতে পারেন ‘স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত এই কোচ। পরে ব্যাপারটি উয়েফার কাছে জানান তিনি, ‘আমি গিয়েই বুঝতে পারলাম, আসলেই গোলপোস্ট ছোট। গোলরক্ষকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পোস্টের নিচে থাকে। তাই এর আকার ঠিক না থাকলে তারা বুঝতে পারে। আমি গোলরক্ষক নই। তবে আমি এটা জানি শৈশব থেকেই। আমি জানি সেখানে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করলে যে দূরত্ব থাকে সেটা সম্পর্কে। তাই আমি তখনই বুঝেছিলাম কোনো ঝামেলা আছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা উয়েফার প্রতিনিধিকে পেয়েছিলাম এবং হ্যাঁ, এটা পাঁচ সেন্টিমিটার ছোট ছিল।’

তবে এই ঘটনায় সিকেনদিয়ার বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ আনেনি টটেনহাম। কারণ উত্তর মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়েতে অবিস্থিত স্টেডিয়ামটি ক্লাবটির হোম ভেন্যু নয়। উয়েফার চাহিদা অনুযায়ী, সিকেনদিয়ার ঘরের মাঠ যথেষ্ট মানসম্মত না হওয়ায় তা ব্যবহারের অনুমতি পায়নি তারা। আগামী বৃহস্পতিবার প্লে-অফ রাউন্ডে নিজেদের মাঠে ইসরায়েলের দল মাকাবি খাইফার বিপক্ষে খেলবে টটেনহাম।

"