ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ অক্টোবর, ২০১৯

তিন সেঞ্চুরি-পাঁচ ফিফটির ম্যাচ ড্র

সহজে জিতল খুলনা

জাতীয় ক্রিকেট লিগের টায়ার ওয়ানের দুই ম্যাচে দেখা গেল দুই রকম চিত্র। এক ভেন্যুতে বোলারদের দাপট, অন্যটিতে ব্যাটসম্যানদের। খুলনায় লো-স্কোরিং ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। আর চট্টগ্রামে ঢাকা ও রংপুর বিভাগের ম্যাচে রান উৎসব হলেও ফল হয়নি। দুই দলই প্রথম ইনিংসে তোলে ৫০০-এর বেশি রান। সাইফ হাসানের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি (২২০) ও রনি তালুকদার (৬৫), রকিবুল হাসান (৫৭), নাদিফ চৌধুরীর (৬১) ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৫৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। জবাবে লিটন দাস (১২২) ও নাঈম ইসলামের (১৩৫) সেঞ্চুরি, সোহরাওয়ার্দী শুভর অপরাজিত ৯২ ও তানবীর হায়দারের ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০৮ রান তোলে রংপুর।

৪৮ রানে এগিয়ে থাকা ঢাকা শেষদিনের পড়ন্ত বিকালে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান তোলার পর ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।

এদিকে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনেই জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল স্বাগতিক দল। রাজশাহীকে শেষপর্যন্ত তারা হারিয়েছে সহজেই। ১০৮ রান করতে শেষদিনে খুলনার হাতে ছিল পুরো ৯০ ওভার ও ৯ উইকেট। এদিন দুটি উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা। ৭ উইকেটের জয় তুলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে আবদুুর রাজ্জাকের দল।

১২৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫৯ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন সৌম্য সরকার। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। মোহাম্মদ মিঠুন ২৭ ও ইমরুল কায়েস করেন ২২ রান। ৪ রান করে আগের দিনের বিকালে আউট হন খুলনার ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

রিয়াদের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে নায়ক ইমতিয়াজ

প্রথম ইনিংসে ৬৩, দ্বিতীয় ইনিংসে ১১১। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ডাবল লড়াই ঢাকা মেট্রোকে শেষদিন পর্যন্ত ম্যাচে রাখলেও পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি। ইমতিয়াজ হোসেনের অপরাজিত ১১০ রান মেট্রোর বিপক্ষে সিলেটকে এনে দিয়েছে ৮ উইকেটের দারুণ এক জয়।

বগুড়ায় জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে টায়ার-২ এর ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে ২৪৬ তুলেছিল ঢাকা মেট্রো। সিলেট বিভাগ প্রথম ইনিংসে ৩১৯ তুলে ৭৩ রানে লিড নেয়।

দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রো। মাহমুদউল্লাহ ত্রাতার ভূমিকায় লড়াই জমিয়ে দেন। ৬ উইকেটে ২২৫ তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে দলটি। ৪ উইকেট হাতে রেখে বরিশালের চেয়ে ১৫২ রানে এগিয়ে থেকে।

লিড আরো বড় করার আশা দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ছিলেন ৯৫ রানে অপরাজিত। কাল দ্রুতই তুলে নেন শতক। কিন্তু ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ২৪৩ বলে তিনি ১১১ করে ফেরার পর বেশি দূর এগোয়নি মেট্রোর ইনিংস।

তাতে ২৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায় মেট্রো। সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০০ রানের। যা ২ উইকেট হারিয়ে ৫২.২ ওভারে তুলে নেয় সিলেট বিভাগ। অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইমতিয়াজ হোসেন তান্না নায়ক বনে যান, জাকির হাসান করেন ফিফটি।

ইমতিয়াজ ও জাকির ১৬২ রান যোগ করেছেন জুটিতে। শেষপর্যন্ত ১১টি চার ও ১টি ছক্কার ইনিংস সাজিয়ে ১৭৮ বলে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন ইমতিয়াজ। জাকির হাসান দলকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে ফিরে যান ৭২ করে। ফতুল্লায় টায়ার-২ এর অন্য ম্যাচে, ড্র করেছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগ। চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান তুলেছিল। বরিশাল বিভাগকে পরে ২১৬ রানে অলআউট করে ১৪০ রানের বড় লিড নেয় তারা।

শেষদিনে চট্টগ্রাম বিভাগ ৬ উইকেটে ১৯৫ করে ইনিংস ছাড়ে। বন্দরনগরীর দলটি বরিশালকে দেয় ৩৩৫ রানের লক্ষ্য। কিন্তু প্রতিপক্ষকে অলআউট করার পর্যাপ্ত সময় পায়নি তারা।

শাহরিয়ার নাফিস ৪২, মোহাম্মদ আশরাফুল ৬০, মোসাদ্দেক হোসেনের ৩৫ রানে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলে বরিশাল। তারা ৭ উইকেটে ১৭৪ তোলার পর ম্যাচে ড্র মানতে হয় চট্টগ্রামকে।

প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া নাঈম হাসানের দ্বিতীয় ইনিংসেও শিকার সমান উইকেট। নোমান চৌধুরী দুটি ও মাসুদ খান একটি করে উইকেট নিলেও তা চট্টগ্রামের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close