ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৮ মার্চ, ২০১৯

দুঃস্বপ্ন ভুলে সেমিতে চোখ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু গ্রুপসেরা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা; উড়ে গেছে ৩-০ গোলে। স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো নেই সাবিনা-আঁখিদের। পরশু রাতে ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেননি তারা।

এবার অনেক আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিমালয় জয় করা হয়নি সাবিনাদের। নেপালের কাছে পঞ্চমবারের মতো হেরেছে দল। পল স্মলির প্রশান্তির ঘুম না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে নেপালের হারটা এখন বাংলাদেশের জন্য অতীত। পেছনের ব্যর্থতা ভুলে সামনে তাকাতে চান পল, ‘আমি মনে করি, সবাই সন্তুষ্ট আমাদের খেলায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের মেয়েরা সত্যি অসাধারণ খেলছে। এখানে ভুটানের সঙ্গে জিতেছি। মেয়েরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। নেপালের সঙ্গে প্রথম ২৫ মিনিট মেয়েরা ভালো খেলেছে। শুধু কিছু ছোটখাটো ভুল করেছে। এ জন্যই আমাদের এমন হার। এখন আমাদের সব মনোযোগ সেমিফাইনালে।’ ২০ মার্চ যেখানে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

পরশু টিম হোটেলে ফিরেই ব্যর্থতা নিয়ে কাটাছোঁড়া করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মেয়েদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। বরং তাদের সারাক্ষণ উজ্জীবিত করেছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও পল স্মলি। শুধু কোথায় কোথায় ভুল করেছেন মেয়েরা, সেগুলো হাতেকলমে ধরে দেখিয়েছেন। কাল ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুভি হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি দেখতে যাবেন কোচ গোলাম রব্বানী ও পল স্মলি। তবে মেয়েদের কেউ কাল হোটেল থেকে বের হবেন না। কোনো অনুশীলন রাখেননি কোচ। পুরো দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে সাবিনাদের। শুধু টিম হোটেলের সামনে সকালের নাশতার পর হালকা স্ট্রেচিং করেছেন সাবিনা ও মারিয়া মান্দারা। তখন তাদের চেহারায় ছিল না কোনো বিষণ্নতার ছাপ।

দলের জন্য সুখবর, অনুশীলনে চোট পাওয়া কৃষ্ণা রানী সরকার এখন পুরো ফিট। কোচ ছোটন নিশ্চিত করেছেন, ২০ মার্চের সেমিফাইনালে খেলবেন টাঙ্গাইলের কিশোরী। প্রতিপক্ষ ভারত বা শ্রীলঙ্কা যেই আসুকক না কেন, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কোচ, ‘ভারতকেই আমাদের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে যেই আসুক আমাদের খেলতে হবে। আমি আশাবাদী। আমরা নিশ্চয়ই পরের ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়াব। কারণ, মেয়েদের এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে লড়াই করে জেতার অভিজ্ঞতা আছে। সেমিফাইনাল ম্যাচ, এখানে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।’

স্বাগতিকদের মাঠে হচ্ছে সাফ। এ জন্য স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দর্শক ছিল নেপালের পক্ষে। এ ছাড়া মাঠে ছিল প্রচ- বাতাস। কোচ চেয়েছিলেন টসে জিতলে বাতাসের অনুকূলের পোস্টে দাঁড়াবেন মেয়েরা। কিন্তু টসে হেরে প্রথমার্ধে খেলতে হয়েছে বাতাসের প্রতিকূলে। কোচ কাল বলছিলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম টসে জিততে। কিন্তু সেটা হয়নি। প্রথমার্ধে প্রচণ্ড বাতাস ছিল। বল একদিকে মারলে অন্যদিকে চলে যাচ্ছিল। বলের ফ্লাইট মিস করার এটাও একটা কারণ ছিল।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close