আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নওয়াজকন্যা মরিয়ম এবার রাজনীতিতে
পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক তারকা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম শরিফ। তবে নওয়াজ পরিবার বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মর্মে পানামা পেপারসের ফাঁস করে দেওয়া খবরে কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কি প্রধানমন্ত্রী কন্যার উত্থানকে ঠেকাতে পারবে? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজেছেন বিবিসির সাংবাদিক শুমাইলা জাফরি। তিনি বলেন, আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে, যখন আমি প্রথমবার মরিয়ম শরিফকে দেখেছিলাম, এটি ছিল ১৯৯১ সালে লাহোরে আমার কলেজ শুরু করার কয়েক দিন পর। আমি কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় হঠাৎ তিনি উপস্থিত হলেন। তার পরনে ছিল সাদা লম্বা জামা আর হাতে বহন করছিলেন তার বাবা নওয়াজ শরিফের ছবি-সংবলিত একটি ছোট বই। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং কলেজের একজন ‘সেলিব্রিটি’। চার পাশে মেয়েদের একটি দল তাকে ঘিরে ধরেছে।
কেননা ওই সময়ের মধ্যে নওয়াজ শরিফের সরকারসহ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত চার চারটি সরকারকে তাদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এ সময়টাতে মরিয়ম তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। লোকচক্ষুর বাইরে দুই সন্তানকে লালন-পালন করছিলেন তিনি।
বাবার পক্ষে লড়াই : রক্তপাতহীন এক সেনা অভ্যুত্থানের পর ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে নওয়াজ শরিফকে জেলে এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গৃহবন্দি করা হলে মরিয়ম ও তার মা স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে চ্যালেঞ্জ জানান। সৌদি বাদশার সহায়তায় মরিয়ম ও তার মা কুলসুম জেনারেল মোশাররফের সঙ্গে এক চুক্তি করেন।
চুক্তি অনুসারে নওয়াজ শরিফকে মুক্ত করে সপরিবারে সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়। প্রায় আট বছর, ২০০৭ সালে তারা দেশে ফিরে আসেন। ওই বছরই পাঞ্জাবের এক নির্বাচনে জয়লাভ করে আঞ্চলিক সরকার গঠন করেন নওয়াজ শরিফ।
তরুণ ভোটারকে টার্গেট : ২০১১ সালে আরেকটি রাজনৈতিক উত্থান ঘটে পাকিস্তানে। নওয়াজ শরিফের ক্ষমতার ঘাঁটি লাহোরে এক সমাবেশের আয়োজন করেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরানের খানের এ সমাবেশ বহু যুবক অংশগ্রহণ করে এবং তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলোর মধ্যে ব্যাপক শঙ্কার সৃষ্টি করে।
"