ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
মেছতার চিকিৎসায় যা করবেন
কে না চায় একটি সুন্দর মুখমন্ডল। আদিকাল থেকেই দাগহীন সুন্দর মুখমন্ডল সবারই কাম্য। কিন্তু নাকের পাশে বাদামি বা কালো রঙের দাগ মুখের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয় অনেক সময়। এ দাগগুলোকে মেছতা বলা হয়। বলা যায়, মেছতা মুখ বা ত্বকের সৌন্দর্য বিনাশকারী। বাদামি ও কালো দাগ বা মেছতা পড়ার বাস্তব কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাধারণত সূর্যের আলোর প্রভাব, বংশগত, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ডিম্বাশয়ের সমস্যা, এন্ডোক্রাইন সমস্যা, লিভারের সমস্যা, পুষ্টিহীনতা ও কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মেছতা বা কালো দাগ পড়তে পারে।
মেছতার চিকিৎসা বা দূর করার উপায় : সূর্যের আলোর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। হাইড্রোকুইনন ক্রিম লাগাতে হবে। এছাড়া মেছতার আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে দুটি চিকিৎসা বর্তমানে বেশি লক্ষ করা যায়। এর একটি হলো কেমিক্যাল পিল ও দ্বিতীয়টি লেজার। একজন স্কিন স্পেশালিস্ট ডাক্তার হিসেবে আপনাকে জানাতে চাই, চিকিৎসা শুধু ভালো থাকার নিশ্চয়তা দিতে পারে; কিন্তু চিরদিনের জন্য মেছতা ভালো হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। আপনার যদি আর্থিক অবস্থা ভালো থাকে, তাহলে সাময়িক ভালো থাকার জন্য কসমেটিক চিকিৎসা করাতে পারেন। এটি শরীরের অন্য কোনো ক্ষতি করে না। আবার সব রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা করালে মেছতা ভালো হবে না। এক্ষেত্রে যাদের এপি ডার্মাল মেছতা (স্কিনের ওপরের লেয়ারে থাকে) তারা সম্পূর্ণ ভালো থাকবেন, যাদের ডার্মাল মেছতা স্কিনের নিচের লেয়ারে থাকে তারা একটু ভালো হবেন।
যাদের মিক্সড মেছতা স্কিনের ওপর ও নিচে উভয় লেয়ারে থাকে, তাদের মেছতার উন্নতি হবে। বর্তমানে বিশেষ ধরনের এক যন্ত্রের সাহায্যে কোনটি কোন ধরনের মেছতা, তা নির্ণয় করা যায়। আর এ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে আপনি অনায়াসেই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন আপনার মেছতা কতটুকু ভালো হওয়া সম্ভব।
মেছতার প্রাথমিক চিকিৎসা
যদি রোগের কারণে হয়, তবে সে রোগের চিকিৎসা করতে হবে।
যদি কোনো ওষুধের কারণে হয় সে ওষুধ সেবন বন্ধ করতে হবে।
যদি প্রেগনেন্সির কারণে হয়, ডেলিভারির ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
ভালো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক
(চর্ম-যৌন-অ্যালার্জি)
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
"