কৃষিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির আধুনিকায়ন ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেই। উন্নত বিশ্বে কৃষির সর্বস্তরে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগলেও আমাদের দেশের কৃষি খাতে; বিশেষ করে খামার যান্ত্রিকীকরণে এখনো অনেক উন্নতির সুযোগ রয়েছে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে তিন দিনব্যাপী ১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি ও লিমরা এক্সিবিশনসের যৌথ উদ্যোগে এ মেলা আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষি ও ভাগ্যাহত কৃষককুলের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রচলিত সনাতন ধারার কৃষি প্রযুক্তির পরিবর্তনে খামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ও কলাকৌশলের সমন্বয় একান্ত প্রয়োজন।’

কৃষি ও শিল্প খাতকে দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্ষেত্র উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ দুটি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দেশে সেবা খাতের বিকাশ হবে। বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং এর উৎপাদনশীলতা ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি ও কৃষিসংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি উৎপাদক, প্রযুক্তি সম্প্রসারণকারী শিল্প ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে এ প্রযুক্তি মেলা কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করবে।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মাৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি বগুড়ার মহাপরিচালক মো. খুরশিদ ইকবাল রেজবী, লিমরার চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন প্রমুখ।

"