নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ মে, ২০২৪

ট্রেন আসা-যাওয়ার খবর পান না লাইনম্যান

যন্ত্র বিকল হওয়ায় রাজধানীর এফডিসি ও মগবাজার সিগন্যালে ট্রেন আসা-যাওয়ার কোনো খবর পান না লাইনম্যান। রেললাইনের দিকে তাকিয়ে থেকে ট্রেন দেখে সড়ক বন্ধ করতে হয়। এছাড়া ট্রেন আসার ঠিক খবর না পাওয়ায় সড়কের গাড়িও বন্ধ করতে হয় অনেক আগে। ১৫ দিন ধরে সিগন্যালটি এভাবেই চলছে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর দিকে কোনো নজর নেই কর্মকর্তাদের।

মগবাজার সিগন্যালে দেখা গেছে, রেললাইনের দিকে অপলক চেয়ে আছেন লাইনম্যান। আর এ চেয়ে থাকা ১ বা ২ ঘণ্টার জন্য নয়, টানা ৮ ঘণ্টা। অর্থাৎ ডিউটির পুরোটা সময় এভাবেই চেয়ে থাকতে হচ্ছে কখন ট্রেন আসছে। ট্রেন চোখের সীমানায় আসার পর দ্রুতই সড়কের গাড়ি বন্ধ করতে হবে। টেলিফোন লাইন, সতর্কতার ঘণ্টা সবই নষ্ট। কারওয়ারবাজারে সনাতন পদ্ধতিতে একটি সিগন্যাল দেওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েও জটিলতার শেষ নেই। এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে প্রায়ই টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে দাবি রেলওয়ের। কিন্তু বড় ধরনের ঝুঁঁকির শঙ্কা থাকলেও লাইন সচল করার কোনো উদ্যোগ নেই তাদের।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হাদিউজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিনেও রেল পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারেনি রেলওয়ে। সেইসঙ্গে নিজস্ব কোনো প্রযুক্তি বিভাগই নেই গণপরিহনের সবচেয়ে বড় সেবা খাতটির। এত বড় একটা সেক্টর, এত বিনিয়োগ! কিন্তু সেখানে আইসিটি ডিভিশন নেই। ট্রেনের টিকিট বিক্রির জন্য আমাদের ঠিকাদারদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আমাদের লেভেলক্রসিংগুলোর আধুনিকায়ন করা দরকার। এখন ইন্টারলক সিস্টেম চলে এসেছে। সেখানে লেভেলক্রসিং, পয়েন্টস অ্যান্ড ক্রসিং এবং স্টেশন সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানো সম্ভব। এখানে হিউম্যান এরর বা মানুষের যে ভুল সেটা শূন্যতে নামানো সম্ভব।

রেলের ভাড়া না বাড়িয়ে বরং কীভাবে আয় বাড়ানো সম্ভব তাও তুলে ধরেন এ যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ। বলেন, অনেকগুলো খাত আছে। পণ্য পরিবহনে তাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। পাশাপাশি রেলের যে জমিগুলো আছে, তা উদ্ধার করে সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম করে তা থেকে আয় নিয়ে এসে রেলের যে ভাড়ার স্ট্রাকচার আছে সেখানে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। তাই আমি মনে করি, এ ভাড়া আরো কমানো সম্ভব। রেলকে সাবসিটি নিতে হবে না মন্তব্য করে হাদিউজ্জামান বলেন, রেলের যে পরিমাণ জমি আছে, এ অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। রেল পরিচলানার জন্য সবার আগে দরকার দুর্নীতি বন্ধ করা ও দক্ষ জনবল তৈরা করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close