পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নকাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে আমাদের পার্বত্যবাসীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশের সব জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

গতকাল শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নিয়ে বলেন, বৈসাবীর এই বর্ণিল উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সব ভাষাভাষী, সব ধর্ম ও সব সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এক ছাতার নিচে সব জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধভাবে সহাবস্থানে থেকে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশের মূল স্রোতধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমরা কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তার নেতৃত্বে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি জেলা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্নেল আবদুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. নাজমুল হক, খাগড়াছড়ি মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপপরিচাল জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবি আনন্দ শোভাযাত্রায় যোগ দেন। বৈসাবি বাংলাদেশের তিন পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি।

"