পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) এ তথ্য জানা গেছে।

নিউমার্কেট থানার ওসি শফিকুল গণি সাবু জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এসআই সবুজ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো চার শ থেকে পাঁচ শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী জানান, দুই মামলাতেই ৫২ জনের নাম রয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে।

গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার মহানগরগুলোতে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। এর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। বিআরটিসির একটি দোতলা বাস ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পুলিশ ধানমন্ডি থানা বিএনপির নেতা, গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম রবিসহ কয়েকজনকে আটক করে।

সংঘর্ষের জন্য বিএনপি ও পুলিশ পরস্পরকে দায়ী করেছে। বিএনপি বলেছে, কর্মসূচি শেষে কর্মীরা ফেরার সময় পুলিশ ‘বিনা উসকানিতে’ তাদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বিএনপিকর্মীরা হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালান।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফ হোসেন দাবি করেন, পুলিশের ওপর বিএনপির একদল নেতাকর্মী হঠাৎ হামলা চালান এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটান। ওদের এই হামলায় ৮-৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। ফলে আমাদের অ্যাকশনে যেতে হয়।

"