টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ০৬ আগস্ট, ২০২২

সাংবাদিকের ওপর হামলা

টঙ্গীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য কারাগারে

গাজীপুরের টঙ্গীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তাররা হলো টঙ্গী পশ্চিম থানার কাঁঠালদিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক অনিক (২৯), বড় দেওড়া মিত্তিবাড়ি এলাকার শাহীন মিয়া ওরফে কাওয়া শাহীনের ছেলে রাশেদ খান মেনন (২৫), একই এলাকার মৃত বারেক মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫), মো. ইউসুফের ছেলে আল-আমিন (২৮), আহাম্মদ আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন, গোপালপুর এলাকার নাসির উল্লাহর ছেলে আরাফ উল্লাহ ওরফে রিফাত (২৪) এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে টঙ্গীর বাসিন্দা আজাহার হোসেন (১৭)।

গ্রেপ্তার রাশেদ খান মেনন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজি সেলিম মিয়ার অনুসারী এবং এনামুল হক অনিক গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী নুর মোহাম্মদ মামুনের অনুসারী বলে জানান স্থানীয়রা।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দেড় মাস আগে কাঁঠালদিয়া বস্তির উচ্ছেদ করা জায়গায় বাংলাদেশ স্টিল করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের বিপুল পরিমাণ লোহার রড চুরি হয়। ওই লোহা বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাশেদ খান মেনন ও অনিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ছাড়া রাজনৈতিক মিছিলে যাওয়া, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। পরে উভয় গ্রুপ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা ফটকের সামনে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা সাংবাদিক আরিফের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড কেড়ে নেয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close