কুমিল্লা প্রতিনিধি

  ১০ অক্টোবর, ২০২১

কুমিল্লায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে

‘প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের উচিত জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানো। বিএনপি তাদের দলের ভালোমন্দ বোঝে। আমি মনে করি, দেশ ও মানুষের স্বার্থে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।’

গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকলে বিএনপি স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচনে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল শনিবার কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির (বার্ড) ৫৪তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার প্রতি যে রাজনৈতিক দলের বিশ্বাস ও অঙ্গীকার রয়েছে- সে দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কোনো সুযোগ নেই। আর যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, স্বৈরতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করে, তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করবে- এটাই স্বাভাবিক।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের উচিত জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানো। বিএনপি তাদের দলের ভালোমন্দ বোঝে। আমি মনে করি, দেশ ও মানুষের স্বার্থে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।’

এর আগে সম্মেলনে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে জবাবদিহির আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। জনপ্রতিনিধিদের অবজ্ঞা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এই জনপ্রতিনিধিরাই।

শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি জানান, পদ্মা সেতুসহ সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশে অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন তা অর্জন করা সম্ভব হবে। এজন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয় একত্রে কাজ করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কর্মকাণ্ড শুধু মিটিং আর কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। নাগরিকসেবা দ্রুত সময়ে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষ আমাদের মিটিং আর ফাইল ওয়ার্কের দিকে তাকিয়ে থাকে না। তারা চায় সেবা। আর এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

বার্ডকে একটি সক্ষম প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রসারে ভূমিকা রাখতে হবে। যে প্রকল্পই গ্রহণ করা হোক না কেন, সেটি অবশ্যই প্রোডাকটিভ হতে হবে এবং কোয়ালিটি বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে আর কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, নগরের মতো পরিকল্পিতভাবে গ্রামগুলোও গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমিকে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

নীতিনির্ধারণী পেপার উপস্থাপন করেন বোর্ডের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান। এ ছাড়া সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও মধ্যপর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close