প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১০ জুলাই, ২০২০

আবারো পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা

প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও প্রস্তুতি সরকারের

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক আবহাওয়া মডেলের তথ্য অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে, দেশের ২৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে বৃদ্ধি ২৭টা, হ্রাস ৭০টায়, অপরিবর্তিত রয়েছে ০৪টির।

২৩ জেলা বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী : এবার দেশের ২৩ জেলা বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ১১ জুলাই থেকে এসব জেলায় বন্যা দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ-খবর রাখছেন, নির্দেশনাও দিচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনলাইনে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এ সময় মন্ত্রী জানান, উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, সিলেট বিভাগসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, পাবনাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বন্যার্ত জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে বন্যার্ত জেলাগুলোর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে দেশের ১২ জেলা বন্যাকবলিত। আরো যেসব জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব জেলার প্রশাসনকে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বাঁধ ভেঙে যাতে বন্যার পানি ফসলি জমি ও লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই কাজে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ভিজিএফ চালসহ নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বন্যার্ত জেলায় শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্য কেনার জন্য পৃথক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close