নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গোডাউন থেকে টেন্ডার হওয়ার আগেই পুরাতন আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতিসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল গোপনে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন এক কর্মকর্তা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোর্শেদ মনিরুজ্জামান গোপনে সরকারি এসব মাল বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় জনতা টের পেয়ে আটকে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গত রোববার সরকারি ছুটির দিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালামাল রাখার গোডাউন থেকে বিনা টেন্ডারে কোনো কাগজপত্র ছাড়া মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর উপজেলার জগন্নাথ দে নামের এক ঠিকাদার একটি পিক-আপ ভ্যান ও একটি ট্রলিতে মালামাল উঠানোর সময় স্থানীয়রা টের পায়। এ সময় জনগণ ঠিকাদার জগন্নাথকে মালামাল ক্রয়ের কাগজপত্র দেখতে বলে। ঠিকাদার কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আত্রাই থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ঠিকাদারের কাছে নিলামের কাগজপত্র দেখাতে বলেন। ঠিকাদার নিলামের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মালামাল বোঝাই দুটি ট্রাক আটক করে ঠিকাদার জগন্নাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোর্শেদ মনিরুদজ্জামান বলেন, নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিসে টেন্ডার হয়েছে। নওগাঁ সিভিল সার্জন আমাকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান, টেন্ডারের কাগজপত্র পরে পাঠানো হবে। তাই আমি মৌখিক নির্দেশনা মতে ঠিকাদারকে লিস্ট অনুসারে মালামাল দিয়েছি। টেন্ডার বিষয়ে এর বেশি আমার জানা নেই।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং মালামালসহ ২টি যানবাহন আটক করা হয়। ঠিকাদারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর অবশিষ্ট মালামাল হাসপাতালে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরিপূর্ণ টেন্ডারের পর নিয়মানুসারে ওই মালামালগুলো বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁ সিভিল সার্জন মমিনুল হক বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসারে টেন্ডারটি এখনো সম্পন্ন করা হয় নাই। টেন্ডারের টাকা ভ্যাটসহ সরকারি কোষাগারে জমা হয় নাই। শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তবে বিষয়টি কেন এমন হলো তা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"