বিনোদন প্রতিবেদক

  ০১ এপ্রিল, ২০২৪

পোলাকের ‘থার্টি থ্রি সামার’

এমাজন পাব্লিশিংয়ের (এপাব) অধীনে ওডিসি গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ফর আর্টস অ্যান্ড কালচার প্রকাশ করল বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পী সামিউল ইসলাম পোলাকের আত্মজীবনীমূলক কফি টেবিল বুক ‘থার্টি থ্রি সামার’।

এ বিষয়ে পোলাক বলেন, ‘আমার জন্মদিনে, হঠাৎ করেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কালজয়ী কবিতাটি মনে পড়ল, পড়ে নিলাম রবীন্দ্রনাথের অটোবায়োগ্রাফি জীবনস্মৃতি পুরোটা। সেই বোধ হলো, একটা সচিত্র বই করি। শুরু হলো অন্বেষণ।’

এখানে আমার বাবা-মা আছেন, ‘আমার দাদি-নানি আছেন, আমার মুমু আছে, স্বপ্নীল আছে, আমার স্কুল আছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আছে, লতা মঙ্গেশকর আছে, পাকিজা আছে আর সবার সঙ্গে মিলে মিশে আছে আমার শিল্পীসত্তা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ফরিদপুরের একটা সাধারণ ছেলে ছিলাম, আমার শ্রোতাজনরা, আমার দেশ ও ভারত আমাকে শিল্পী সিংহাসনে বসিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ, তাই সেই স্মৃতিগুলোকে ছাপিয়ে রাখা।’

কৃতজ্ঞ যে তারা এই কফি বইটি প্রকাশ করেছে এবং আমাকে লেখক সম্মান দিয়েছে এবং আমার গল্পটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগটি নিয়েছে।

শিল্পী সামিউল ইসলাম পোলাক বাংলাদেশ ও ভারত, দুই বাংলার একজন জনপ্রিয় কবিতা আবৃত্তিশিল্পী। তার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ শিল্পীর বেড়ে ওঠা ফরিদপুরে। পুরো নাম এ এফ এম সামিউল ইসলাম। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ফরিদপুর থেকে আবৃত্তির প্রশিক্ষণ নেন। রবীন্দ্র কাব্য সাহিত্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন শান্তিনিকেতনের শিক্ষয়িত্রী পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে। তার প্রথম কবিতা আবৃত্তির এলবাম ‘ইতি রবীন্দ্রনাথ’ প্রকাশিত হয়, ভারতের সুপ্রসিদ্ধ কোম্পানি হিন্দুস্তান রেকর্ডস থেকে ২০১৭ সালে। এ শিল্পী বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে স্বর্ণপদক পেয়েছিল ২০০১ সালে। শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে অর্জন করেছেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেম এওয়ার্ড (বাইফা) ২০২২, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম সম্মাননা স্মারক, কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল বইমেলা থেকে শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিশিল্পীর পুরস্কার। এ ছাড়া তাকে আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে অভিজ্ঞানপত্র দিয়ে সম্মান প্রদান করেছে ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা, ইউ এস এম্বাসি ঢাকা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অব কালচার ও ইন্দিরা গান্ধি কালচারাল সেন্টার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close