আল-আমিন মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ)

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

নারায়াণগঞ্জে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১৬ দিন। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ৩ জন। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে ২ জন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে ৪ জন। জোটের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাশ বাংলাদেশ পক্ষ থেকে একজন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার আসনগুলোতে চলছে জোর প্রচারণা। প্রার্র্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

নারায়ণগঞ্জ ৫টি সংসদীয় আসনের নারী-পুরুষ মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লাখ ৩১ হাজার ২৩৩ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১, রূপগঞ্জ আসনে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯০ জন। নারায়ণগঞ্জ-২, আড়াইহাজার আসনে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৭ জন। নারায়ণগঞ্জ-৩, সোনারগাঁ আসনে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭ জন। নারায়ণগঞ্জ-৪, সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা আসনে ৬ লাখ ৫১ হাজার ১২৩ জন। নারায়ণগঞ্জ-৫, সদর-বন্দর আসনে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৬ জন।

এসব ভোটারের মন জয় করতে যেমন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন মনোনয়নপ্রাপ্তরা। অপরদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়া ও দলীয় কোন্দল নিরসনে কাজ করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, একাদিক দলীয় কোন্দলে জড়ানো নেতারা বলছেন দলীয় একাদিক ত্যাগী নেতারা। তবে জাতীয় পার্টিতে (জাপা) তেমন সমস্যা নেই বলে দাবি দলটির একাদিক নেতার।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি মরিয়া হয়ে পাড়া-মহল্লায়, হাটে-বাজারে, উঠান বৈঠক করে দলীয় প্রতীকে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার সংসদীয় ৫ আসনেই মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিল একাদিক।

এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একজন, বিএনপির একজন ও জাতীয় পার্টির একজন করে প্রার্থী বাছাই করে দলীয় প্রতীক দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বাকিদের সাথে মিলতাল করতে তাদেরকে সাথে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে পারবেন কি না এমন প্রশ্ন নানান গুণজন জেলার প্রতিটি নির্বাচনীয় এলাকায় সরব। সব চেয়ে আলোচিত নারায়ণগঞ্জ-১, রূপগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ চলতি বছরের শুরুতে ও মাঝামাঝি সময় দুই জন হত্যা মামলার আসামী হয়েছেন। দলীয় সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত অনেক তৃণমুল নেতা-কর্মীদের চাপা খোব জাড়বেন না সব ভূলে সাথে কাজ করবেন এমন যল্পনা ভেঁসে বেড়াচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জামেলা এবং প্রতিপক্ষের মতো মিটিং মিছিল সভা সমাবেশ করেছেন বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে। এ দুই আসনে আওয়ামী লীগের একাদিক প্রার্থী ছিল নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে ২৮জন। দলের সিদ্ধান্ত মতো নারায়ণগঞ্জ-১, নৌকা গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২, নৌকা নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪, নৌকা একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩, লাঙ্গল লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫, লাঙ্গল একেএম নাসিম ওসমান।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একাদিক প্রার্থীকে দলীয় চিঠি দিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন জেলা জুড়ে। দলীয় চিঠি পেয়ে অনেকেই উঠান বৈঠক ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন। তাদের অনেকেই ধানের শীষ প্রতীক পায়নী। হতাশা নিয়ে অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন না।

বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একাদিক ব্যক্তিকে চিঠি দিয়ে বিএনপি যেমন ভাল করেছেন, তেমনী এর ভিরোপ প্রভার পোহাতে হবে। যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি মহা খুঁশি। যিনি পাননী তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে হবে হ্যয়র প্রাত্র। তবে এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে ভাল হবে বলে মন্তব্য করেন।

ধানের শীষ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১, রূপগঞ্জ আসনে লড়বেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নারায়ণগঞ্জ-২, আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩, সোনারগাঁ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪, সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা আসনে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাশ বাংলাদেশ মনির হোসাইন কাসেমি, নারায়ণগঞ্জ-৫, সদর-বন্ধর আসনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট শরিক দলের এস এম আকরাম।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের সাথে কথা বলা যায়নি। তবে তার কাছের একজন পবীণ নেতা বলেন, আমাদের অবস্থান ভাল। শামীম ভাই ক্ষমতায় থাকার পর এলাকায় বেশ উন্নয়ন করেছেন। আমরা আশাবাদী এবারও নৌকা জিতবে। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রূপগঞ্জবাসীর আন্তরিকতায় আমি টানা তৃতীয়বার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে সুযোগ পেয়েছি। আমি বিশ^াসকরি আওয়ামী লীগের উন্নয়নের উপর দিয়ে সাধারন ভোটারগণ চলাচলসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিদা ভোগ করছেন। আমাদের দলে কোন কোন্দল নেই। পরিবার বড় হলে একটু মান অভিমান হতেই পারে। এখন সব ঠিক আছে দবি করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ক্ষমতায় থাকার পরে সোনারগাঁও উপজেলায় সাধ্য মতো উন্নয়ন করেছি। জনগণ চাইলে আবারও উন্নয়ন করার সুযোগ পাইব। তবে প্রবীণ ও তরুণ সব বয়সের লোকজন লাঙ্গলকে আবার বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close