রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২২ মে, ২০১৭

আন্তর্জাতিক

আইএসের নৃশংসতায় ইরাক

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাহিনী বড় ধরনের অভিযান চালায়। ফালুজার পর তারা সবাই সুন্নি অধ্যুষিত এ অঞ্চলটি আইএস মুক্ত করতে চায়। মসুল ইরাকে আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি। ফালুজা, রামাদি শহর হারিয়ে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর অবশিষ্ট সদস্যরা এখানেই আশ্রয় নিয়েছে। মসুল শহরের ভেতরের পরিস্থিতি আরো নাজুক। আইএস মসুল দখলের পর এখানকার দশ লাখ অধিবাসী শহর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অবশিষ্টদের বাস করতে হয় চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায়। প্রায় প্রতিরাতে টাইগ্রিস নদীর কিনার ঘেঁষা পাহাড়ের পথে শহর থেকে পালিয়ে আসে অবরুদ্ধ মসুলবাসী। তাদের সহায়-সম্বল কেবল কিছু কাপড় ও খাদ্য। পালিয়ে আসা মসুলের অধিবাসীদের সতর্কভাবে পথ বাতলে দেন কুর্দি এক কমান্ডার। যদিও ভাষাগত বিড়ম্বনার কারণে দোভাষীর মাধ্যমেই তিনি মসুলবাসীকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিরাতেই নতুন দল আসার আগাম খবর পান এ কমান্ডার। সে অনুযায়ী নেন ব্যবস্থা। শহরের চারপাশে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর স্নাইপার ওঁৎপেতে থাকে। তাই অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে পথ দেখাতে বেশ সতর্ক থাকতে হয় পেশমারগার সদস্যদের। পাছে স্নাইপারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন, এ কারণেই এত সতর্কতা। এত ভয় আতঙ্কের মধ্যেই রাতে অনেকে মসুল ছাড়ে। মসুল শহর ছেড়ে পালিয়ে আসা বিধ্বস্ত মানুষ যেন নতুন জীবন পায়। মসুল শহরজুড়ে তীব্র পানি ও খাবার সঙ্কট। চারদিকে কেবল ধ্বংসযজ্ঞ ও গলিত লাশ। শহরের ভেতর জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শহরজুড়ে কেবল চরম উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক। ২০১৪ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময় প্রথম শহরটি দখলে নেয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। উগ্রপন্থী এ সংগঠন তখন পুলিশ ফাঁড়ি ও সেনাচৌকি পুড়িয়ে দেয়। নিজেদের তথাকথিত সাদা-কালো পতাকা ওড়ায়। শহর দখলের পর জঙ্গিরা প্রতিটি মসজিদে নতুন ইমাম ও স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়।

এ পরিস্থিতিতে মসুলের অধিকাংশ অধিবাসী শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাকিদের অধিকাংশ শহরে আটকে থাকে। শহরের কিছু সংখ্যক আইএস আগমনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সুন্নিদের প্রতি ইরাকের শিয়া শাসক নুরি আল মালিকীর শাসনের বিকল্প হিসেবেই তারা এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিল। প্রথম দিকে অবশ্যই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা মানুষগুলোর সময় খারাপ যায়নি। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল, অন্ন-বস্ত্রের জোগানও ছিল প্রতুল। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। কঠোর শরিয়া আইন জারি হয়। অধিবাসীদের বাধ্য করা হয় দাড়ি রাখতে। সঙ্গে আফগান স্টাইলের প্যান্ট। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মহিলাদের চলাফেরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরিবারের সদস্য ছাড়া মহিলারা রাস্তায় বের হতে পারত না। যদি কোনো মহিলা উঁচু হিলের জুতা পায়ে রাস্তায় বের হওয়ার সাহস দেখাত তখন তাকে প্রকাশ্যে প্রহার করা হতো। এ কারণে ধীরে ধীরে মার্কেটগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে। অব্যবস্থাপনার জন্য পানি ও বিদ্যুৎহীন হয় শহর। ২০০৬ সাল থেকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়। ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর আইকিউআই ব্যানারে ইরাকের বাথ পার্টির সদস্যরা সবে জড়ো হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি ২০১২-১৩ সালে তারা সিরিয়ায় নিজেদের কর্মকা-কে বিস্তার করে। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি ইরাকের রামাদি শহর দখলে নেয় এ গোষ্ঠী। মসুলের মতোই শতাধিক জঙ্গি রামাদি শহরের সরকারি স্থাপনা দখলে নেয়। জঙ্গিদের দৌরাত্ম্যে সরকারি বাহিনী তখন পিছু হটে। যদিও তারা শহরের একটি অংশে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সচেষ্ট হয় ও শহর দখলমুক্ত করার যুদ্ধ চালিয়ে যায়। দীর্ঘ দুটি বছর রামাদির অধিবাসীদের এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই বাস করতে হয়। দখল-পাল্টাদখলের এ পরিস্থিতি যেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বার্লিন। শিয়া মিলিশিয়া ও মার্কিন কোয়ালিশন বাহিনীর সহায়তায় ২০১৫ সালের শেষ দিকে আইএস দখলমুক্ত হয় রামাদি। শহরের অধিবাসীরা ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করে।

কিন্তু দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ভয়াবহতার জন্য চেনা শহর তাদের কাছে বড় অচেনা দেখায়। চারদিকে কেবল ধ্বংসযজ্ঞ, লাশ ও আর্তনাদ। ইরাকের অন্যান্য শহরের তুলনায় রামাদির পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও নাজুক। আইএস জঙ্গিরা এই শহরের অধিকাংশ স্থান বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। শহরের সর্বত্র কেবল ধ্বংসযজ্ঞ। দখলের প্রথম দিকে সরকার ও আইএসের মধ্যে কিছুটা ভঙ্গুর সমঝোতা ছিল। ফলে আইএস অধিকৃতরা শহরের অন্য অংশে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারত। সরকার ও আইএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই এমন আসা-যাওয়া। আইএস অধিকৃত অধিকাংশ দোকান ও বাসবভনে স্প্রে দিয়ে লেখা থাকত ‘আইএসের নিজস্ব সম্পত্তি’। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর বিপরীতও ছিল। সেখানে আইএসের কোনো চিহ্ন থাকত না, তবে তা নিতান্তই ব্যতিক্রম। রামাদি শহরের যে অংশ আইএসের দখলে ছিল সে অঞ্চলে পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ড সব নামিয়ে ফেলা হয়েছিল। নামাজের ওয়াক্ত হলে দোকান বন্ধ রাখা ছিল বাধ্যতামূলক। সর্বত্র তখন আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সাদা-কালো পতাকা। রামাদি শহরে আইএস বহু কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণও আদায় করেছে। মুক্তিপণ প্রদানে ব্যর্থ হলে সেসব কিশোরকে জোরপূর্বক নিজেদের দলে কাজে লাগানো হয়। তাদের আস্তানা থেকে পালানোর কোনো সুযোগ কিংবা পথ থাকত না অপহৃত কিশোরদের। সার্বক্ষণিক কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ছিল। বাগদাদ শহরের দক্ষিণ অঞ্চল হতে সিরিয়া, তুরস্ক ও সৌদি আরব সীমান্তবর্তী অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল আইএস। শত শত শহর ও গ্রামে তাদের ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বেশকিছু দুর্লভ নিদর্শন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইএস। ইয়াজিদি ধর্মাবলম্বীদের ওপর ছিল তারা সবচেয়ে বেশি নাখোশ। ইয়াজিদিদের তারা মূর্তি উপাসক ভাবত। তেলকূপে আগুন জ্বালিয়ে পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি করে আইএস। মাসের পর মাস জ্বালিয়ে দেওয়া জ্বালানি তেলের ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো অঞ্চল।

ইরাকজুড়ে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আইএস জঙ্গিদের কারণে নিজেদের বসতভিটা ছাড়তে বাধ্য হয়। শুরুতে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্রের জিগির তুলে আইএস ইরাকি সুন্নিদের নিজেদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিল। নারী, পুরুষ, ধনী, গরিব সবার প্রতি ছিল তাদের এমন আহ্বান। কিছু ইরাকিকে অবশ্য আইএসের ব্যাপারে অতিউৎসাহী হতেও দেখা যায়। মূলত নুরি আল মালিকীর সরকারের বৈষম্যের শিকার সুন্নিরাই ছিল আইএসের মূল টার্গেট। এ সুন্নিদের আবেগকে কাজে লাগায় আইএস। এ কারণে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে আইএসের সমর্থক বেশি ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশ তখন আইএসকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে। যার মধ্যে সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের নাম বেশি উচ্চারিত হয়। গ্রামাঞ্চলে আইএসের জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গে ইরাকের একজন জেনারেল জানান, নিরক্ষর ও আধুনিক বিশ্ব হতে বিচ্ছিন্ন মানুষই মূলত আইএসের সমর্থক। নিজেকে মসুল অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী দাবি করা এই জেনারেল বলেন, ‘আইএসের অধিকাংশ সদস্যই সমকামী। এরা আসলে সব বাচ্চা। এদের মানুষ বলতেও দ্বিধা হয়। জেনারেলের গাড়ির পেছনে বসা অন্য অফিসার মাথা নাড়িয়ে তার বক্তব্যকে সমর্থন করেন। জেনারেলের গাড়ি বাগদাদ হতে মসুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। খুব সাবধানে এগোতে হচ্ছে তাদের। কারণ রাস্তার দুই ধারে মাইন পোঁতা। একটু এদিক-সেদিক হলেই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা। এ কারণে গাড়ির ড্রাইভারকে বারবার সতর্ক করছিলেন জেনারেল। গাড়ির কনভয়টি জাহালা নামক একটি গ্রামে এসে থামল। সেখানে হাজারো উদ্বাস্তু জড়ো হয়েছে। তারা সবাই খাবারের আশায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রোদের প্রচ- তাপ। অসংখ্য মানুষের ভিড়। গ্রামের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যক্তি ছুটে এলেন জেনারেলের কাছে। তিনি জানালেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে আইএস নেতা বাগদাদির অভিমত, ইসলামের মূল শত্রু হলো কাছের শত্রু অর্থাৎ মুসলিম বিশ্বের অপবিত্র শাসক। যারা ইসলামী রীতিতে দেশ পরিচালনা করতে ব্যর্থ। প্রথম দিকে বাগদাদির লক্ষ্যবস্তু ছিল শিয়া। যাদের তিনি ইসলামের মধ্যে জীবন্ত ক্যানসার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ইরাকের বাথ পার্টির বহু বছরের পুরনো মতাদর্শকে তিনি আসলে সামনে এনেছেন। আশির দশকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন যখন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তখন একটি ডায়ালগ আওড়াতেন। ইসলামের প্রকৃত রক্ষক ও সৈনিক পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন সাদ্দাম হোসেন। আরব বিশ্বের সুন্নি জনগণকে ইরানের শিয়া থেকে রক্ষার জন্য উক্ত বুলি আওড়াতেন সাবেক এই স্বৈরশাসক। সপ্তম শতাব্দী থেকে চলে আসা এই বিরোধের পুনরায় সূচনা ঘটান আল বাগদাদি। প্রথম দিকে তার হামলার মূল লক্ষ্যবস্তুই ছিল ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, শেষ দিকে বাগদাদি ও তার দল আইএস শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের চেয়ে সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষকেই বেশি নিশানায় ফেলেন। আল কায়েদার সঙ্গে তাদের তাত্ত্বিক মতপার্থক্যও এ জায়গায়। আইএস কেবল অবিশ্বাসী, সুন্নি, শিয়া কিংবা অন্য ধর্মের মানুষই হত্যা করেনি, বরং যারাই হত্যাযজ্ঞে শামিল হয়নি তাদের হামলার নিশানা করেছে। এই উগ্রপন্থার সূচনা মূলত সাবেক ফিলিস্তিন নেতা আবদুল্লাহ আযমের হাত ধরে। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময়কালে আল কায়েদা প্রতিষ্ঠা করেন এই তাত্ত্বিক জিহাদি নেতা। তার মতে, ভয় কিংবা সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই লাশের প্রয়োজন। তিনি লিখেছেন, মুসলিম বিশ্বের এই লাঞ্ছনার জন্য দায়ী তাদের অস্ত্র ত্যাগ ও জিহাদের প্রতি বিমুখতা। আবদুল্লাহ আযমের এই জিহাদি তত্ত্ব কতটা আত্মঘাতী তা আইএসের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। ২০১৬ সালে আইএস যোদ্ধাদের অধিকাংশ নিজেদের সহযোদ্ধাদের হাতে প্রাণ হারায়। সম্মুখযুদ্ধ কিংবা বিমান হামলায় হতাহতের চেয়ে সহযোদ্ধার হাতে প্রাণ হারানো আইএসের সংখ্যা ছিল বেশি।

২০১৬ সালের জুন মাসে ইরাকের স্পেশাল ফোর্স ফালুজা পুনরুদ্ধার করে। ইরাক ছেড়ে সিরিয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমায় জঙ্গি সংগঠনটি। কিন্তু তার আগেই ফালুজা শহরের আনাচেকানাচে রেখে যায় নিজেদের অসংখ্য বর্বরতার নিদর্শন। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ফালুজা দখলে নেয় আইএস। পুলিশ ও সেনা জোয়ানরা নিজেদের অস্ত্র ও অর্থসহ যা কিছু সম্বল তা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাকিরা আইএসের কাছে আত্মসমর্পণ করে কিংবা শহরের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকে। আত্মসমর্পণ করা ইরাকের পুলিশদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে তাদের অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হতো। আইএসের ধর্মীয় পুলিশ ‘হিসবাহ’ কখনো জনসম্মুখ, কখনোবা মসজিদ প্রান্তরে তাদের শাস্তির বিধান করত। লঘু অপরাধের জন্য বেত্রাঘাত ও গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের হত্যাও করা হতো। ফালুজার মহিলা শিক্ষা ইনস্টিটিউটে ছিল আইএসের আদালত ও বিচার বিভাগ। একই ভবনে আসামিদের মৃত্যুদ- দেওয়া হতো। ভবনটি ২০১৬ সালে আইএস দখলমুক্ত হওয়ার পর সেখানে ফালুজার স্থানীয় বাসিন্দারা পুনরায় ফিরে আসে। দেখে, মৃত মানুষের পচা গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে এসেছে। হলরুমগুলোতে কেবল লাশের স্তূপ। কার্পেট কিংবা প্লাস্টিক দিয়ে দেহগুলো ঢাকা। পচাগলা সেসব দেহ বিকৃত আকার ধারণ করেছিল। স্থানীয় একজন পুলিশ অফিসারের ধারণা, এসব মৃতদেহের অধিকাংশ আইএস যোদ্ধাদের।

লেখক : কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য প্রবাসী

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist