reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ মার্চ, ২০২৪

সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়

অসাধু ব্যবসায়ীরা ওত পেতে থাকেন, সুযোগ পেলেই বাজার অস্থির করে তোলেন। রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই এসব অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। আর এভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নিরীহ ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার কোটি টাকা। বলা যায়, রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সিন্ডিকেট। এ সময় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা থাকলেও তা তোয়াক্কা করেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা।

রমজানে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলার চাহিদা বেড়ে যায়। যার জন্য প্রয়োজন আমদানি ও সরবরাহ বাড়ানো। রমজানের আগে সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম বেড়ে যায়। তাই মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাড়াতে হবে ভর্তুকি। এরই মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি নানা উদ্যোগের কথা আমরা জানতে পেরেছি। দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে ৫টি চালানের বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ টন ছোলা। টিসিবির আওতায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারি পর্যায়ে ৪০০ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৩ টন আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে ছোলার বাজারদর কেজিপ্রতি ১০০ টাকার বেশি। টিসিবির আওতায় ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষকে তা ৫৫ টাকায় দেওয়া হবে। টিসিবির একজন কার্ডধারী এতদিন ৩০ টাকা কেজিদরে মাসে ৫ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজিদরে ২ কেজি মসুর ডাল কিনতেন। এখন থেকে তার সঙ্গে ৫৫ টাকা কেজিদরে ১ কেজি ছোলা যোগ হলো। সরকারি এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। এতে কিছুটা হলেও স্বল্পআয়ের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

সরকার সাধারণ ব্যবসায়ীদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচা ছোলা আমদানির সুযোগ দিলেও সে সুযোগের কোনো সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা। গত বছর ছোলার কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও এবার কোনো কারণ ছাড়াই তা বেড়ে ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অবশেষে রমজান উপলক্ষে সরকার কম মূল্যে বিক্রির জন্য টিসিবির পণ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা যুক্ত করে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। রোজায় টিসিবির অর্ধেক মূল্যের পণ্য নিম্নআয়ের মানুষ পেলে খুব উপকৃত হবেন। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ছোলাসহ অন্য খাদ্যপণ্য আমদানি করলে খুচরা বাজারে দাম কমে আসবে। সরকারিভাবে আমদানির ফলে বাজারে ছোলার দাম কমে আসবে- এটা আশা করাই যায়। নিত্যপণ্যের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অতি মুনাফা করতে ব্যবসায়ীরা সময় ও সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়ান। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রায় প্রতি বছরই বলা হয়, সব পণ্যেরই পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অথচ রমজান শুরুর এক-দুই মাস আগেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। সিন্ডিকেট বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন কথাও শোনা যায়। বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকার নিতে না পারলে কোনোভাবেই পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হবে না। কাজেই সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close