reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ জুন, ২০২২

এই নাও ভালোবাসা তোমাকে দিলাম

কোনো কিছু পেতে হলে বিপরীতে দিতে হয় কিছু। এর নাম বিনিময়। এর বাইরেও পাওয়া যায়, তা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে। তবে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তাকে পাওয়া না বলে দখল বলাটাই উত্তম, যা কখনোই স্থায়ী নয়। কেননা সেখানে ভালোবাসার কোনো শিশির সিক্ত বাগান থাকে না। ফুল ও ফুলের সৌরভ থাকে না। বিষয়টি অনেকটা মরুভূমির মধ্যে ক্যাকটাস ফুলের মতো। কিন্তু যখন ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসাকে জয় করা হয় তখন তা ফুলের সৌরভ আর মণ্ডম ঘ্রাণে চারপাশ আলোকিত করে। ২৫ জুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যেন সেই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। আমরা ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসাকে জয় করলাম।

নেতৃত্ব দেওয়ার কারণেই এ ভালোবাসার প্রধান অংশীদার হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উচ্চারিত হলে সম্ভবত বেশি বলা হবে না। তার সততা, সাহস এবং অদম্য ইচ্ছার প্রতিফলন পদ্মা সেতুর পরতে পরতে লেগে ছিল বলেই আমাদের ভালোবাসার নির্যাসে গড়া স্বপ্নের সার্থক নির্মাণ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ দেশের কোটি কোটি মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ভালোবাসা এই সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীকে জুগিয়েছে অদম্য সাহস, যা সময়ের বিচারে ভালোবাসা বিনিময়ের একটি সুসম বিন্যাস। আর সে কারণেই সেতুর উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সমর্থন দিয়েছে বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেছেন, জনগণের শক্তিই বড় শক্তি আর এটাই আমার বিশ্বাস। বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে আপনাদের মধ্যে খুঁজে পেয়েছি তাদের অস্তিত্ব। এই অস্তিত্বকে নান্দনিক করতে আমি সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।

এ কথাও সত্য, যেকোনো কাজের সফলতার পেছনে ত্যাগের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসটাও তাই। শতসহস্র কোটি মানুষের ত্যাগের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে আজকের সভ্যতা। তাই উন্নয়ন বা কল্যাণের ক্ষেত্রে ত্যাগের কোনো বিকল্প নেই। আর এই ত্যাগের উৎসভূমির নাম প্রেম বা ভালোবাসা। ভালোবাসার শক্তি এতটাই প্রবল যে, যা পারমাণবিক যেকোনো শক্তির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ভালোবাসা পৃথিবীকে জয় করার ক্ষমতা রাখে আর পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা আমাদের জানা। প্রধানমন্ত্রী বলপ্রয়োগের পথ অনুসরণ ও অনুকরণ করেননি বলেই পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতার অংশ হিসেবে যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে। আর সে কারণেই তিনি বলতে পারলেন, ‘এই নাও ভালোবাসা তোমাকে দিলাম’।

প্রধানমন্ত্রীর মতো আমরাও বিশ্বাস করতে চাই, ‘ভালোবাসার কোনো বিকল্প নেই’। এ ভালোবাসাই দিতে পারে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অদম্য সাহস। এই সাহসের সঙ্গে সততার ভালোবাসা ঘনীভূত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়িত হতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। এজন্য আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে হবে। মস্তিষ্কের আবর্জনা ছুড়ে ফেলতে হবে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার কাজে মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সহজ কোনো কাজ নয়। এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তা সম্ভবও নয়। এজন্য চাই ভালোবাসার সংযোজন। ভালোবাসার সঙ্গে ভালোবাসা যুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে পারে পদ্মা সেতুর মতো আগামীর আয়োজন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close