reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ এপ্রিল, ২০২০

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা মোকাবিলায় হ্যাকাথন করোনাথন-১৯

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা Artificial Intelligence প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপকে মোকাবিলার জন্য চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদদেরও একটা দায়বদ্ধতা আছে; আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি হতে পারে প্রযুক্তিবিদদের অন্যতম একটা হাতিয়ার। সে লক্ষ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আগামী ২৮-৩০ এপ্রিল ২০২০ অনলাইনে আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘করোনাথন-১৯’ হ্যাকাথন যেখানে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর যুব সমাজ এবং ছাত্র সমাজ অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর গবেষকদের তত্ত্বাবধানে করোনা মোকাবিলার প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবন করবেন এবং বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন ২৫ হাজার ইউএস ডলার।

আজ ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুরুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ টেনোলজি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ আলাইয়ার। বক্তব্য রাখেন এলাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের সহযোগী ডিন অধ্যাপক ড. আবু নাসের জাফরুল্লাহ। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলাপমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হওয়া অসংখ্য সমস্যার সমাধান শনাক্তকরণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি সমস্যাগুলো যথা স্বাস্থ্য, খাদ্য, পুষ্টি ইত্যাদির সমাধান নির্ণয় করা, শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করা এবং বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের যথাযথ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করাই এই ‘করোনাথন-১৯’ এর উদ্দেশ্য।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে বা বিস্তারিত জনতে ভিজিট করুন https://coronathon19.daffodilvarsity.edu.bd/

পুরো বিশ্ব করোনার প্রকোপে ভুগছে এবং বাংলাদেশেও করোনার এই সংক্রমণ খুব বড় রকমের একটা ধাক্কা দিতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণকে একটি বৈশ্বিক বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু হতাশার বিষয় হচ্ছে এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রকার প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি যে কারণে সমগ্র মানব সভ্যতা আজ লকডাউন হয়ে আছে। বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপকে মোকাবিলার জন্য চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদদেরও একটা দায়বদ্ধতা আছে; আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (অও) প্রযুক্তি হতে পারে প্রযুক্তিবিদদের অন্যতম একটা হাতিয়ার। সে লক্ষ্যেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘করোনাথন-১৯’ যেখানে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর যুব সমাজ এবং ছাত্র সমাজ অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর গবেষকদের তত্ত্বাবধানে করোনা মোকাবিলার প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবন করবেন এবং বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন ২৫ হাজার ইউএস ডলার। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ (করোনার প্রভাব বিবেচনায়) হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও পুষ্টি সেবা, শিক্ষাসেবা ও ওপেন বক্স আইডিয়া।

করোনাথন-১৯ কি, কেন এবং কীভাবে?

‘করোনাথন-১৯’ একটা যুদ্ধের নাম, যা করোনার মহামারির বিরুদ্ধে। ঘরে বসে লকডাউন অবস্থায় থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাকে প্রযুক্তির কাজে লাগিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলার একটি হ্যাকাথন এর নাম করোনাথন-১৯। যার আয়োজক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এই হেকাথনে ঘরে বসেই অংশগ্রহণ করতে পারবে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সারা বিশ্বের ছাত্র-ছাত্রীরা। করোনার প্রকোপের উপর মূলত কেন্দ্র করেই AI/ML/IOT/Robotics এবং Big Data প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা/খাদ্য ও পুষ্টি/শিক্ষাসহ আরো অন্যান্য বিষয়ের ওপর সমাধান বের করে আনাই এই করোনাথন-১৯ এর মূল লক্ষ্য। ছাত্র-ছাত্রীদের জমা দেওয়া প্রোজেক্ট বা সমাধানগুলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সমাদৃত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত সমাধানগুলোকে আরো পরিশীলিত করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আর্থিক অনুদানসহ উন্নত ল্যাব সেবা প্রদান করবে।

আয়োজকরা জানান young mind always looks for nwe solutions. আর সে লক্ষ্যেই আমাদের তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজে লাগিয়ে এই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ভাবন করতে চাই। করোনাথন-১৯ হয়তো করোনা নিধনকারী ভ্যাক্সিন সমাজকে উপহার দিতে পারবে না কিন্তু জীবনের জন্য যে প্রযুক্তি এই বিশ্বাসটা সমাজে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close