প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ মার্চ, ২০২৪

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বৈশ্বিক বাণিজ্যের শিপিং রুট

বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যের সিংহভাগ মালামাল পরিবহন হয়ে থাকে সমুদ্রপথে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধমনিও বলা যায় শিপিং রুটগুলোকে। এসব পথের যেকোনো ধরনের বিপর্যয় কিংবা হুমকি বিশ্ববাণিজ্যের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। যে কারণে অনেক দেশ বৈশ্বিক শিপিং রুটগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা মোতায়েন করে। এর গুরুত্ব এত বেশি যে, তেল পরিবহন হুমকির মুখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশাল অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হামলা ও ছিনতাই করছে। হুতিদের ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে ওই অঞ্চলে জাহাজ চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ইউরোপের উত্তরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ কৃষ্ণ সাগরের কিছু অংশে জাহাজ চলাচলকে আরো বিপজ্জনক করে তুলছে। সামুদ্রিক গোয়েন্দা তথ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কোরি র‌্যান্সলেম বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিপিং রুট নিয়ে কথা বলেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক তার মতে, বর্তমানে বিপজ্জনক শিপিং রুট কোনগুলো...

লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর : ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেন উপকূলে চলাচলকারী জাহাজ লক্ষ্য করে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে। হুতিদের এই হামলা বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথটিকে প্রায় পঙ্গু করে ফেলেছে।

লোহিত সাগরের উত্তর প্রান্তে সুয়েজ খালের অবস্থান; এর দক্ষিণ প্রান্তে বাব এল-মান্দেব প্রণালি, যা এডেন উপসাগরে মিলেছে। এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে এবং তার বাইরে পণ্য পরিবহনের জন্য দিনরাত জাহাজের চলাচলের ব্যস্ত জলপথ এটি।

কিন্তু অনেক বড় শিপিং কোম্পানি হুতিদের হামলার কারণে ওই অঞ্চলে ট্রানজিট স্থগিত করেছে। তারা জাহাজগুলোকে দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশের জলপথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের নির্দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশের জলপথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এতে সময়ও বেশি লাগে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর হুতিদের প্রথম হামলার পর থেকে দুই হাজারেরও বেশি জাহাজ তাদের সমুদ্রযাত্রা অন্যপথে নিতে বাধ্য হয়েছে।

যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই হুতিদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা করছে। এ হামলায় ইয়েমেনে হুতিদের কয়েক ডজন স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, যা ইতিমধ্যে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মেক্সিকো উপসাগর : মধ্যপ্রাচ্য থেকে দূরে মেক্সিকো উপসাগরের ক্যাম্পেচে উপকূলে মেক্সিকোর অফশোর তেল স্থাপনাগুলো অবস্থিত। এই উপসাগরটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অঞ্চল; যেখানে শেল, বিপি, শেভরন এবং এক্সন মবিলসহ বিশ্বে প্রভাবশালী বিভিন্ন জায়ান্ট কোম্পানির উপস্থিতি রয়েছে।

চরম বৈরী আবহাওয়া ওই অঞ্চলের তেল ও গ্যাস শিল্পের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ হুমকিগুলোর একটি। তবে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে ঝুঁকি হারিকেন। তবে মেক্সিকোর চোরাকারকারিরা উপসাগরে জ্বালানি পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং গত বছরের মার্চে উপসাগরে অন্তত ছয়টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close